দশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের
No icon

আগামী বাজেটে কর্পোরেট কর এক বছরের জন্য বিশেষ ছাড়ের পরামর্শ

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে অর্থনীতি রক্ষায় আগামী বাজেটে কর্পোরেট কর এক বছরের জন্য মওকুফ ও স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ কর সুবিধার দেয়ার সুপারিশ করেছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। একই সঙ্গে উৎপাদন ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) কর প্রত্যাহার ও কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি।আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে এক বাজেট প্রস্তাবে এসব পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি। গত ৫ এপ্রিল এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত প্রস্তাবনা দিয়েছে বেসরকারি এ গবেষণা সংস্থাটি।

বাজেট প্রস্তাবে সিপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনার কারণে দেশের অর্থনীতি চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। মহামারি এ সংকট মোকাবিলায় উৎপাদনের সচল রাখা ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে হবে। এ জন্য শিল্প খাতকে প্রণোদনাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। প্রয়োজনে কিস্তিতে কর পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব শিল্পের বার্ষিক লেনদেন ৫০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকার মধ্যে, এমন এসএমই শিল্পপ্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর আগামী ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত মওকুফের সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।

পাশাপাশি আগামী অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয় সীমা আড়াই লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখে উন্নীত করা; আয়করের প্রথম তিন ধাপ ১০, ১৫ ও ২০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ কমিয়ে ৫, ১০ ও ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছে তারা।

সিপিডি বলছে, ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি, হাসপাতাল, রোগ নির্ণয় ও প্রতিষেধক তৈরির কোম্পানিকে চলতি বছরের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশেষ কর সুবিধা দেওয়া, যেসব চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের স্টাফ করোনা রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছেন, তাদের জন্য একটি বিশেষ বোনাস প্যাকেজ অথবা তাদের আয়করে আগামী অর্থবছরে বিশেষ ছাড়ের সুবিধা দেওয়া, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বা রোগীর সাহায্যে যারা অর্থ অনুদান বা দান করবেন, সেটিও আগামী অর্থবছরে করমুক্ত রাখা।

ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি, হাসপাতাল, রোগ নির্ণয় ও প্রতিষেধক তৈরির কোম্পানিকে চলতি বছরের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশেষ কর সুবিধা দেওয়া প্রস্তাব দিয়েছে গবেষণা সংস্থা সিপিডি।

এতে বলা হয়, যেসব ডাক্তার, নার্স এবং হাসপাতালের স্টাফ যারা করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন, তাদের জন্য একটি বিশেষ বোনাস প্যাকেজ অথবা তাদের আয়কর আগামী অর্থবছরে বিশেষ ছাড়ের সুবিধা দিতে পারে।

এছাড়া করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বা রোগীর সাহায্যে যারা অর্থ অনুদান বা দান করবেন সেইসব অর্থ আগামী অর্থবছরে করমুক্ত রাখার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি ।

খাদ্য নিরপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমদানিনির্ভর খাদ্য যেমন পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও তেল আমদানির শুল্ক কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে সিপিডি বলছে, এটি বাদ না দেয়া হলে সৎ করদাতারা নিরুৎসাহিত হবেন।