ইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের
No icon

২৫ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ

করোনার বিপর্যয়ে অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে চলতি অর্থবছরেই জরুরি ভিত্তিতে ২৫ কোটি ডলার চেয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। বর্তমান বাজার দরে টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা। গত বছরের প্রতিশ্রুত ৭৫ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তার দ্বিতীয় কিস্তির এই অর্থ চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরের বাজেটের জন্য নতুন করে ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চেয়ে বিশ্বব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ইআরডি। ইআরডির দায়িত্বশীল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। করোনা বিপর্যয়ে অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাংককে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংকসহ দাতারা সাধারণত প্রকল্পভিত্তিক সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে থাকে। আর বাজেটে সহায়তার অর্থ যেকোনো সরকার নিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো খরচ করতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইআরডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজেটের চাহিদা মেটাতে বাড়তি অর্থ প্রয়োজন। এ জন্য বাজেট সহায়তা চাওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংক এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

এই বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, এই মুহূর্তে সরকারের খরচ মেটাতে বাজেট সহায়তা চাওয়া যৌক্তিক। কেননা, করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারের আয় কমে যাবে। ব্যাংক খাত থেকে আর খুব বেশি ঋণ নিতে পারবে না। শুধু বিশ্বব্যাংক নয়; এডিবি, আইএমএফসহ অন্য দাতা সংস্থার কাছেও সহায়তা চাওয়া উচিত। করোনা সংকটের কারণ দেখিয়ে সুদের হার কমানোর দর-কষাকষিতে যেতে পারে বাংলাদেশ।

এ দিকে বিশ্বব্যাংক গত ৪ এপ্রিল করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশকে ১০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা জানায় । বর্তমান বাজার দরে টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা। শিগগির ইআরডির সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের এই সংক্রান্ত চুক্তি হবে বলে জানা গেছে।