দশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের
No icon

উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসা খাতে ঋণ বিতরণের শর্ত শিথিল

উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসা খাতে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুদের হার শিথিল করা যাবে। এই সুযোগ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংক আগে ব্যাংকগুলোকে চলতি বছরে তাদের বিতরণ করা মোট ঋণের ২৫ শতাংশ অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, ছোট মাঝারি (এসএমই) খাতে বিতরণ করতে বলেছিল। পাশাপাশি কোন খাতে কত ঋণ দিতে হবে, সেটিও নির্ধারণ করে দিয়েছিল। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসা খাতে ঋণ দেওয়ার বিদ্যমান হার শিথিল করা যাবে। এই সুযোগ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে।

জাতীয় শিল্পনীতিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ঋণের ২৫ শতাংশ দিতে হবে এসএমই খাতে। মূলত এই লক্ষ্য অর্জন করতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন নির্দেশনাটি দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে সিএমএসএমই খাতে যে ঋণ বিতরণ করা হবে, তার ৪০ শতাংশ উৎপাদনশীল খাতে, ২৫ শতাংশ সেবা খাতে ও ৩৫ শতাংশ ব্যবসা খাতে যাবে। এই নীতিতেই ছাড় দিল সংস্থাটি।

প্রজ্ঞাপনে ছাড় দেওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, করোনা-পরবর্তীকালে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অন্যান্য খাতের পাশাপাশি ব্যবসা খাতেও ঋণের চাহিদা অপেক্ষাকৃত বেশি বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো খাতে ঋণ দিতে পারবে।

এ ছাড়া প্রাক্-অর্থায়নের আওতায় আগের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ৬০ শতাংশ মেয়াদি ঋণ খাতে ও ৪০ শতাংশ চলতি মূলধন খাতে বিনিয়োগ করতে হবে। এ সম্পর্কে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেয়াদি ঋণে ৬ মাসে ঋণ পরিশোধে বিরতিসহ ৫ বছর মেয়াদ দিতে হবে। এই ঋণে সুদসহ কিস্তি আদায় করতে হবে তিন মাস পর থেকে। চলতি মূলধনের দেওয়া ঋণ এক বছর পর সুদসহ কিস্তি আদায় করতে হবে।

নতুন এই ছাড় সম্পর্কে একটি বেসরকারি ব্যাংকের এসএমই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এতে এসএমই খাতে বিতরণ আরও বাড়বে। কারণ, ব্যবসা খাতে যত সহজে ঋণ বিতরণ করা যায়, উৎপাদন খাতে তত সহজে ঋণ দেওয়া যায় না। তবে ব্যবসার জন্য ঋণের চাহিদাও অনেক বেশি।

এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের কম সুদে ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য চালু করা হয়েছে একাধিক পুনঃ অর্থায়ন তহবিল। আবার এসএমই ঋণে গ্যারান্টি সুবিধাও দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ৪ শতাংশ সুদেও এসএমই ঋণ পাওয়া যাচ্ছে।

এর ফলে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস জুলাই-ডিসেম্বরে এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। তবে সার্বিকভাবে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ব্যাংকঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এদিকে এসএমই খাতে ঋণ বাড়াতে নিরাপত্তা সঞ্চিতিতে ছাড়, সুদ ভর্তুকিসহ নানা ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।