ইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের
No icon

লঞ্চের যাত্রী গুনে উৎসে কর আদায় করা হয়

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে নৌযানমালিকদের আয়করের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন। তিনি প্রস্তাব করেছেন, অভ্যন্তরীণ রুটে পরিবহনে নৌযানের (নিবন্ধনের দিন থেকে প্রথম ১০ বছর পর্যন্ত) দিবাকালীন যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতার ভিত্তিতে যাত্রীপ্রতি ১২৫ টাকা, আর ১০ বছরের পুরোনো হলে যাত্রীপ্রতি ১০০ টাকা অগ্রিম আয়কর দিতে হবে, যা আগে ছিল ১২৫ টাকা। অর্থাৎ পুরোনো লঞ্চের মালিকদের ২৫ টাকা করে সাশ্রয় হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।

প্রায় সারা দেশেই অভ্যন্তরীণ নৌপথে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ছোট বড় লঞ্চে চলাচল করে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রায় হাজারখানিক নিবন্ধিত লঞ্চ আছে। প্রতিবছর এসব লঞ্চের সার্ভে সনদ নবায়ন করার সময় মালিকদের কাছ থেকে সরকার অগ্রিম আয়কর কেটে রাখে। তবে বছর শেষে রিটার্ন দাখিলের সময় অগ্রিম কর সমন্বয় করা হয়।

এ বিষয়ে এনবিআরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, সাধারণত লেনদেনের ভিত্তিতে উৎসে কর কেটে রাখা হয়। কিন্তু দেশের লঞ্চমালিকদের বেশির ভাগই প্রত্যন্ত অঞ্চলের ব্যবসায়ী। তাঁদের অনেকেই কেবল সার্ভে সনদ নবায়নের জন্য সরকারি অফিসে যান। বছর শেষে অনেকে রিটার্ন দেন না। তাই তাঁদের কাছ থেকে যাত্রী ধারণক্ষমতা অনুযায়ী উৎসে কর কেটে রাখা হয়। অবশ্য বহু লঞ্চে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন করা হয়। এই খাতে সরকার প্রতিবছর ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা আয়কর পায়। অভ্যন্তরীণ নৌপথে মালামাল পরিবহনে কার্গো, কনটেইনার, ডাম্পবার্জ এসব নৌযানের ক্ষেত্রে ধারণক্ষমতার ভিত্তিতে গ্রস টনেজ প্রতি ১২৫ থেকে ১৭০ টাকা উৎসে কর আদায় করা হয়।