দশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের
No icon

নিত্যপণ্যে উৎসে কর প্রত্যাহার চায় এমসিসিআই

রমজান মাস সামনে রেখে চাল, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, ছোলা, বুট, ডাল, হলুদ, মরিচ, ভুট্টা, আটা, ময়দা, লবণ, ভোজ্য তেল, চিনিসহ সব ধরনের ফল সরবরাহ পর্যায়ে উৎসে কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই)। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক্-বাজেট আলোচনায় এমন দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এসব প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ৫২ এর বিধি ১৬ ১(বি) অনুসারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য সামগ্রী যেমন চাল, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, ছোলা, বুট, ডাল, হলুদ, মরিচ, ভুট্টা, আটা, ময়দা, লবণ, ভোজ্য তেল, চিনি, সব ধরনের ফল ইত্যাদির সরবরাহ পর্যায়ে উৎসে ২ শতাংশ হারে কর কর্তনের বিধান রয়েছে।সংগঠনটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের অধিকাংশ সদস্যই এমসিসিআইয়ের সদস্য। সামগ্রিক জাতীয় রাজস্বের প্রায় ৪০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি আসে এমসিসিআইর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে। এমসিসিআই বরাবরই রাজস্ব সংগ্রহ এবং নীতি বাস্তবায়নে এনবিআরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছে। বাজেট প্রস্তাবনার মধ্যে সব সময়ই বাজেট ব্যবস্থাপনা অধিকতর গতিশীল করার দিকে জোর থাকে। আমাদের বাজেট প্রস্তাবনায় সামগ্রিক কল্যাণ তথা দেশের কল্যাণ ও বিনিয়োগবান্ধব ব্যবসা চিন্তা করে থাকি।

সংগঠনটি বলছে, কৃষিজাত পণ্য মূলত ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে ক্রয় করা হয়। ফলে তাদের কাছ থেকে উৎসে কর কর্তন করা সরকারের রাজস্ব প্রক্রিয়াগতভাবে একটি অসম্ভব কাজ। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যে করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলে দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই প্রক্রিয়াগত জটিলতা ও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সব ধরনের কৃষিজাত নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যকে উৎসে কর কর্তনের আওতা বহির্ভূত রাখার প্রস্তাব করছি।করপোরেট কর হার হ্রাসের সুপারিশ করে এমসিসিআই সভাপতি বলেন, বিগত অর্থবছরে কিছু শর্ত সাপেক্ষে প্রায় সবক্ষেত্রে করপোরেট কর হার ২.৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। বর্তমান বাস্তবতায় হ্রাসকৃত কোম্পানি কর হার সুবিধা কেউই ভোগ করতে পারছে না। অর্থ আইন, ২০২২ অনুযায়ী নগদ লেনদেনের শর্তাবলির প্রযোজ্যতার কারণে হ্রাসকৃত কর হার সুবিধা নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। আমাদের দেশে কার্যকরী করপোরেট কর হার অনেক বেশি।এমসিসিআই ভ্যাট ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের মাধ্যমে বর্তমানে প্রায় সব কোম্পানিগুলো মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দিয়ে থাকে। তবে এই ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গভাবে অটোমেশন নয়। ই-ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে এই অটোমেশন ব্যবস্থা গতিশীল হবে বলে এমসিসিআই মনে করে।