দশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের
No icon

মন্দা থেকে বেরিয়ে এল ইউরোজোন

অবশেষে অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বেরিয়ে এসেছে ইউরোজোনের দেশগুলো। দুই দফা মন্দায় ভোগার পর ইউরোজোন চলতি ২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এপ্রিল–জুনে অর্থনীতিতে দুই শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের সুবাদে এসব দেশের মন্দামুক্ত হওয়া নিশ্চিত হয়েছে।

কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে ইউরো অঞ্চলের দেশগুলো ডাবল ডিপ রিসেশন, অর্থাৎ দুই দফা অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়ে। একটি মন্দা কাটিয়ে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি শুরু হওয়ার অল্প কিছুদিনের মধ্যে আবার মন্দায় পড়াকে ডাবল ডিপ রিসেশন বলে। আর ইকোনমিক রিসেশন বা অর্থনৈতিক মন্দা হলো, একটি দেশের জিডিপিতে পরপর দুই প্রান্তিকে নেগেটিভ গ্রোথ বা সংকোচন ঘটলে সেটাকে মন্দা বলা হয়। ইউরোজোনও প্রথম দফার মন্দা কাটানোর পর আবার গত বছরের অক্টোবর ডিসেম্বর ও এ বছরের জানুয়ারি মার্চ সময়ে টানা মন্দায় পড়ে, যেটাকে ডাবল ডিপ রিসেশন বলে।

তথ্যউপাত্ত অনুযায়ী আলোচ্য প্রান্তিকে ইউরোজোন তথা ইউরো অঞ্চলের সব দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জন নিশ্চিত হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৮টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৯টিকে নিয়ে গঠিত হয় ইউরোজোন বা ইউরো অঞ্চল। এসব দেশ তাদের প্রচলিত একক মুদ্রা হিসেবে ইউরো ব্যবহার করে।
আর ইইউর বাকি ৯টি সদস্যরাষ্ট্র তাদের নিজস্ব জাতীয় মুদ্রাই ব্যবহার করে।

তবে ইউরোজোন জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরলেও কোভিডের আগের তথা ২০১৯ সাল থেকে ৩ শতাংশ পিছিয়ে আছে। করোনাভাইরাসের কারণে ওই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দুই দেশ যথাক্রমে ইতালি ও স্পেনে ৩ শতাংশ করে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অস্ট্রিয়া ও পর্তুগালে তো রীতিমতো ৪ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে গত এপ্রিল জুন তিন মাসে।
অ্যান্ড্রু কেনিংহ্যাম, প্রধান অর্থনীতিবিদ, ক্যাপিটল ইকোনমিকস।

লন্ডনভিত্তিক অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটল ইকোনমিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যান্ড্রু কেনিংহ্যাম বলেন, আগামি জুলাই সেপ্টেম্বর প্রান্তিকেও ইউরোজোনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরেকটু জোরদার হবে। তবে তা কোভিডের আগের অবস্থাকে ছাড়িয়ে যাবে না, কাছাকাছি থাকবে।
আলোচ্য প্রান্তিকে ইউরোজোনের বৃহত্তম অর্থনীতি জার্মানিতে ১ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি ফ্রান্সে এই হার হচ্ছে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। এই সময়ে জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেনে পারিবারিক বা খানা ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বিশেষ করে ফ্রান্সে হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায় ২৯ শতাংশ বেড়েছে।

 

সূত্র: বিবিসি।