দশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের
No icon

তিন লাখ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব সংগ্রহ করেছে এনবিআর

২০২১-২২ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৩ লাখ ১৭৯ কোটি টাকার রাজস্ব সংগ্রহ করেছে, যা গত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ৯০ দশমিক ৯৬ শতাংশ। তবে এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৫ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে। রাজস্ব আয় সংক্রান্ত এনবিআরের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।গত অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরের মাধ্যমে সরকার ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেয়। সংশোধিত বাজেটেও এ লক্ষ্যমাত্রা বহাল রাখা হয়। অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৯ হাজার ৮২১ কোটি টাকা কম সংগ্রহ হয়েছে। তবে এবারই প্রথম এনবিআর ৩ লাখ কোটি টাকার ঘরে গেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে এনবিআর ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮১ কোটি ৮০ লাখ টাকার রাজস্ব সংগ্রহ করে, যা ছিল ওই অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ৮৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ।এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণ কমে আসায় বাড়তি চাহিদা এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় আমদানি বাবদ ব্যয় বেশি হয়েছে। যে কারণে আমদানি শুল্ক্ক সংগ্রহ বেড়েছে।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছরে আমদানি শুল্ক্ক খাতে ১২ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব পাওয়া গেছে। আবার রিটার্ন দাখিল বৃদ্ধি পাওয়ায় আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকেও বেশি রাজস্ব এসেছে। এ খাত থেকে আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৭ হাজার ১১২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব এসেছে।২০২১-২২ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব এসেছে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট থেকে। এ খাত থেকে মোট এক লাখ ৮ হাজার ৪১৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা এসেছে। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ বেশি। আর আমদানি শুল্ক্ক থেকে ৮৯ হাজার ৪২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা রাজস্ব এসেছে। এ খাতে বেড়েছে ১৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। আর আয়কর থেকে রাজস্ব এসেছে এক লাখ ২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। জিডিপির তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশে রাজস্ব সংগ্রহ কম। বাংলাদেশের কর- জিডিপি অনুপাত ১০ শতাংশের মতো। এনবিআর কর্মকর্তরা মনে করেন, স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় অনেক ছাড় না দিলে বাংলাদেশে এ অনুপাত আরও বাড়ত।