TAXNEWSBD
পেঁয়াজের বাজার আবার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার আশঙ্কা
মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২ ০১:০২ পূর্বাহ্ন
TAXNEWSBD

TAXNEWSBD

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে পেঁয়াজের সরবরাহ ব্যবস্থা গতিশীল রাখতে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত আইপি দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, বছরে পেঁয়াজের যে ২৫ লাখ টন চাহিদা আছে, তার মধ্যে রমজান মাসেরই চাহিদা ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টন। সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ ক্ষতি ছাড়া ছয় থেকে সাত লাখ টন পর্যন্ত পর্যন্ত আমদানি করতে হয়।

গতকাল রোববার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দাম কমছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগের তুলনায় তা ১৭ থেকে ২৫ শতাংশ কম।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি অব্যাহত রাখতে গতকাল রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজ আমদানি করতে হলে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিতে হয়, এটা আমদানি অনুমতি (ইমপোর্ট পারমিট), সংক্ষেপে আইপি নামে পরিচিত।
কৃষিসচিবের উদ্দেশে পাঠানো চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, পেঁয়াজে আইপি দেওয়ার শেষ সময় ২৯ মার্চ (মঙ্গলবার)। আইপি দেওয়া চলমান থাকায় বাজারমূল্য সাম্প্রতিক সময়ে আগের তুলনায় স্থিতিশীল আছে। মঙ্গলবারের পর আইপি দেওয়া না হলে পেঁয়াজের বাজার আবার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার আশঙ্কা আছে।
যোগাযোগ করা হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, পবিত্র রমজান মাসে পেঁয়াজের দাম যেন না বাড়ে, সে বিষয়ে আমরা সতর্ক। কৃষকদের কথা মাথায় রেখে আইপির একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হলে বাজারে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। এ কারণেই আইপি অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়কে।

ভারতের বিকল্প বাজার হিসেবে মিসর, তুরস্ক, চীন, পাকিস্তান, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আনার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আমদানি হওয়া পেঁয়াজের প্রায় ৯৫ শতাংশই আসে ভারত থেকে।