দশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের
No icon

বাণিজ্য মেলায় সেরা ভ্যাট দাতার সম্মাননা পেয়েছে ১০ প্রতিষ্ঠান

সদ্য শেষ হওয়া বাণিজ্য মেলাতে সবোর্চ্চ ভ্যাট প্রদান করায় ১০ প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হল সেরা ভ্যাট (ভ্যালু এডেড ট্যাক্স) বা মূল্য সংযোজন কর (মুসক) দাতার সম্মাননা। রাজধানীর মিরপুর এলাকায় আজ সোমবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঢাকা পশ্চিমের এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের সম্মেলন কক্ষে সন্মননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য (ভ্যাট নীতি) মোঃ মাসুদ সাদিক উপস্থিত থেকে সম্মাননা প্রদান করেন। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে সম্মাননা গ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে ওয়ালটন হাই টেক ইন্ডাঃ লিঃ এর পরিচালক এস, এম রেজাউল আলম ও সারা লাইফ স্টাইল লিঃ নামীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মোঃ মতিউর রহমান বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা পশ্চিমের কমিশনার ড. মইনুল খান।

এ বছর ৩৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ভ্যাট প্রদান করে ওয়ালটন হাই টেক ইন্ডাঃ লিমিটেড সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী হিসেবে মনোনীত হয়।

অন্যান প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এসকোয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা, এসকোয়ার টাওয়ার প্রদান করেছে ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা, সারা লাইফ স্টাইল লিঃ, ৩২ লাখ ৫ হাজার টাকা, র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ৩২ লাখ ৫ হাজার টাকা, হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড ২১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা, মাল্টি লাইন ইন্ডাঃ লিঃ, প্রাণ আরএফএল সেন্টার ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ফিট এলিগেন্স লিঃ ১৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা, নাভানা ফার্নিচার লিঃ, ১৬/বি ১৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, মেসার্স ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ১৬ লাখ ১ হাজার টাকা এবং বংগ বেকারস লিঃ ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা ভ্যাট প্রদান করে।

এ বছর দেশি ও বিদেশি ৪৮৭টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করে। ৫শতাংশ হারে বাণিজ্য মেলা থেকে মোট ৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ভ্যাট আহরণ করা হয়।

ওয়াল্টনের প্রতিনিধি বলেন এবারের মেলায় দর্শনার্থী ও স্টলের পরিমাণ কম ছিল। সাপ্তাহিক ছুটিসহ মোট ৬ দিন মেলা ব্যাহত হয়। শুধু এনবিআর বদলালে হবে না ইপিবি, ট্রেড লাইসেন্স দপ্তরসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মইনুল খান বলেন, বাণিজ্য মেলায় আহরিত মোট রাজস্বের পরিমাণ কম হলেও তা অনেক তাত্পর্যপূর্ণ। এই ভ্যাট সাধারণ জনগণ সরাসরি দিয়েছে এবং তা তারা জানতে চান এই ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে কিনা।