দশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের
No icon

মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে : পরিকল্পনামন্ত্রী

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি আমরা লুকাই না। টানা কয়েক মাস কমার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আবহমানকাল থেকে এই সময়টা মঙ্গার সময়। কার্তিক ও চৈত্র এই দুটি আমাদের জন্য ভয়ংকর। আমাদের ঘরের খাবার ফুরিয়ে যায়। খাবারে টান পড়ে। তাই মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। আমি ঝুঁকি নিয়ে বলতে পারি, বৈশাখ মাসে মূল্যস্ফীতি কমবে। মাঠে এখন বোরো ধান আছে। তবে বৃষ্টি বেশি হলে ভয়ংকর অবস্থা হতে পারে। বৃষ্টি যেন আর না হয়।

রোজার কারণে মূল্যস্ফীতি কীভাবে বাড়ে, তা ব্যাখ্যা করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, রোজার সময় অভ্যাসবশত বাড়তি পণ্য কিনে রাখি। আমার স্ত্রীও তেল জমিয়ে রাখেন। তিনি বলেন, রমজান সংযমের মাস। দুর্ভাগ্যবশত এই মাসে আমাদের মা-চাচিরা মজুতদার হয়ে যান। ১০ কেজি পেঁয়াজ, ৫ কেজি চিনি, ১০ লিটার তেলএসব বাড়তি কিনে রাখেন। চার কোটি পরিবারের মধ্যে যদি এক কোটি পরিবার এই কাজ করে, তাহলে বাজারে পণ্যের স্বল্পতা দেখা দেয়। ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ নেন।

তবে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে, এমন মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন। আমার ব্যক্তিগত মত হলো পুলিশ দিয়ে নজরদারি করে নয়, সরবরাহ বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, গত বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। সেটি ছিল গত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে টানা পাঁচ মাস মূল্যস্ফীতি কমেছে। জানুয়ারিতে তা কমে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে নেমে আসে। তবে ফেব্রুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি আবার বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ।