যাত্রা শুরুর তৃতীয় বছরেই দেশের শীর্ষ করদাতার তালিকায় চলে এসেছে মোবাইল আর্থিক সেবা খাতে দেশে সাড়া জাগানো প্রতিষ্ঠান নগদ। এরই মধ্যে সেবা খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) পরিশোধকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নগদ-এর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।শনিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নগদ-এর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমদু হুমায়ূন, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)-এর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর-এর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ এনবিআরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।বিদায়ী অর্থবছরে এনবিআর উৎপাদন খাত, ব্যবসা খাত এবং সেবা খাতে তিনটি করে মোট নয়টি প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) পরিশোধকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কৃত করবে।
একের পর এক নতুন উদ্ভাবন এবং সেবা বিতরণের ক্ষেত্রে অভিনবত্ব নিয়ে শুরু করায় দ্রুতই নগদ-এর সেবা গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে নগদ-এর মাধ্যমে লেনদেন যেমন বেড়েছে, একইভাবে সরকারের হয়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) সংগ্রহেও নগদ সেরার অবস্থানে চলে এসেছে।২০১৯ সালে স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে উদ্বোধন হওয়া নগদ বর্তমানে সাড়ে ছয় কোটি গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে। সুবিধাবঞ্চিত কোটি মানুষের কাছে সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা, প্রাথমিকের উপবৃত্তি এবং করোনার সময় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণের মাধ্যমে সরকারি অর্থ বিতরণ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করেছে নগদ।শুরুতেই গ্রাহক নিবন্ধনের জন্য দেশে প্রথম ইলেকট্রনিক কেওয়াইসির উদ্ভাবন করে দেশে আর্থিক খাতে ডিজিটালাইজেশন নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর নগদ উদ্ভাবন করে মোবাইল অপারেটরদের কাছে থাকা গ্রাহক তথ্যের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনে মাত্র পাঁচটি বাটন ডায়াল করেই অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি চালু হয়, যা ডিজিটাল সেবার দুনিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
নগদ-এর গ্রাহক নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজতর হওয়ায় দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি যেমন বেড়েছে, তেমনি ক্যাশলেস লেনদেনের বিবেচনায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।তিনি বলেন, যত বেশি গ্রাহক ডিজিটাল সেবা ব্যবহার করবেন, তাদের জীবন ততটাই সহজ হবে। আর সেটি হলে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল যেমন ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে, সরকারের রাজস্ব আয়েও ইতিবাচক ধারা চলে আসবে।তানভীর এ মিশুক আরও বলেন, নিশ্চিতভাবে সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পাওয়ার জন্য আমরা কাজ করিনি। নগদ কাজ করেছে গ্রাহক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য। সেটি করতে পেরেই আমরা খুশি।ক্যাশলেস লেনদেনকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে দেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য এখন কাজ করছে নগদ।