চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। তবে পুরো অর্থবছরে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এনবিআরের। সেটি অর্জন করতে হলে অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রায় ৮৯ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে হবে সংস্থাটিকে।বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) স্টাডি সেন্টার অন ডমেস্টিক রিসোর্স মোবিলাইজেশনের (পিআরআই-সিডিআরএম) পরিচালক ড. আব্দুর রাজ্জাক এ বিষয়ে বলেন, অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রাজস্ব আদায়ের গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে পিআরআইয়ের প্রাক্কলন হচ্ছে, অর্থবছর শেষে ৩ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার মতো রাজস্ব আদায় করতে পারবে এনবিআর।
সে হিসাবে, লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে থাকবে এনবিআর। একই সঙ্গে আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা থেকেও পিছিয়ে থাকবে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রস্তাবিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদনের বিপরীতে আইএমএফের দেওয়া অন্যতম শর্ত হচ্ছে, আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছর কর-জিডিপি অনুপাত শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। এ জন্য আগামী অর্থবছর এনবিআরকে অন্তত ৪ লাখ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করতে হবে। সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে সংস্থাটির জন্য লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব খাতে বড় ধরনের সংস্কার ছাড়া এক বছরের ব্যবধানে রাজস্ব আদায়ে বড় এই উল্লম্ফন সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি।গত ১১ মাসের কর আদায়ের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ২৫ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।