সরকারের রাজস্ব আহরণ ও বাজেট প্রণয়নে রাজস্ব নীতিমালা প্রস্তত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ লক্ষ্যে তারা একটি অংশগ্রহণমূলক, গণমুখী ও সুষম বাজেট প্রণয়নে বরাবরই বিভিন্ন পর্যায়ের করদাতা, বিভিন্ন শিল্প ও বণিক সমিতি, ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন, পেশাজীবী সংগঠন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দেশের বুদ্ধিজীবী মহলের কাছ থেকে বাজেট প্রস্তাব আহ্বান এবং তাদের সঙ্গে রাজস্ব আহরণ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনার আয়োজন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটের জন্য শিল্প ও বণিক সমিতি, ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন, পেশাজীবী সংগঠন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। আগামী ২৭ মার্চের মধ্যে এফবিসিসিআই ও এনবিআরে লিখিত আকারে পাঠাতে বলা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) এনবিআর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, রাজস্ব আহরণ কার্যক্রমকে অধিকতর অর্থবহ, বিশ্লেষণধর্মী ও প্রতিনিধিত্বশীল করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাজেট প্রণয়নে আগ্রহী। অর্থমন্ত্রী দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গবেষকদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা শুরু করেছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেও বাজেট প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আগামী বাজেট প্রস্তুতে সহায়তার লক্ষ্যে বিভিন্ন চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশকে তাদের নিজ নিজ বাজেট প্রস্তাব আগামী ২৭ মার্চের মধ্যে লিখিতভাবে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) কাছে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে প্রস্তাবের আরেকটি সফটকপি nbrbudget2019@yahoo.com এই ঠিকানায় ই-মেইলের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় প্রাপ্ত প্রস্তাবসমূহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। যেসব প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা দফতর কোনো চেম্বার বা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নয়, তারাও সরাসরি উক্ত ই-মেইলের মাধ্যমে বাজেট প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মনে করে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জন্য একটি অংশীদারিত্বমূলক, গণমুখী, শিল্প, ব্যবসা ও করদাতাবান্ধব এবং একই সঙ্গে রাজস্ব সম্ভবনাময় বাজেট প্রণয়ন করা সম্ভব হবে।