আগামী বাজেটে কর্পোরেট কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাস। রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রাক-বাজেট বৈঠকে এ প্রস্তাব দিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে।এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আপনাদের এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত। এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহন করব। এনবিআর সম্মেলন কক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন মহাসচিব জাহাঙ্গীর আলম। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কোন কর্মচারীকে সাড়ে ৫ লাখ টাকার অতিরিক্ত বেতন দেয়া হলে এ অতিরিক্ত অর্থের ওপর আয়কর কোম্পানিকে বহন করতে হয়। এটি আগামী বাজেটে সাড়ে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত মওকুফের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে পাবলিক ট্রেডের ওপর ২৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয়।
এটি ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ হ্রাস করতে বলা হয়। এছাড়া মোট আয়ের ওপর ৪০ শতাংশ কর দিতে হচ্ছে। কিন্তু ৪০ শতাংশের বেশি লভাংশ হলে সে ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ রিবেট সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করা হয় ওই বৈঠকে। এছাড়া ট্রান্সপোর্ট ও ক্যারিং সার্ভিসের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ হারে উৎসে কর একীভূত করে হ্রাস করা, মূল্যসংযোজন কর আদায়কারী কর্তৃপক্ষ একই তথ্য একাধিকবার পরীক্ষাকরণ বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বলা হয়েছে, ভ্যাট আইনে কোনো মামলা করতে হলে ৫০ শতাংশ আগেই পরিশোধ করতে হয়। এক্ষেত্রে পরিশোধের হার ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ হ্রাস করতে বলা হয়েছে আগামী বাজেটে। এছাড়া বিস্কুটের ওপর মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ, ট্রান্সপোর্ট কন্ডাকটরদের বিলের ওপর উৎসে কর কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আমদানিকৃত বিস্কুটের ওপর বর্তমান শুল্ক হার বজায় রাখার সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি মূসক আইন অনুযায়ী মূসক কর্তনকারী সত্তা হিসেবে চিহ্নিত প্রতিষ্ঠান থেকে লিমিটেড কোম্পানি বাদ দেয়া এবং মূসক নিবন্ধিত উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারীর ক্ষেত্রে অগ্রিম মূসক আদায় রহিতের সুপারিশ করা হয়।
উইমেন এন্টারপ্রেনার নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট : প্রাক-বাজেট বৈঠকে নারীদের করসীমা বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে উইমেন এন্টারপ্রেনার নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট। রোববার একই স্থানে প্রাক-বাজেট বৈঠকে এ প্রস্তাব করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত টার্নওভারের ওপর শূন্য হারে ভ্যাট আরোপ করতে বলা হয়। এছাড়া কর্পোরেট কর ২৫ শতাংশ থেকে পর্যায়ক্রমে ৫, ৭ ও ১০ শতাংশে কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সর্বশেষ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক হার কমিয়ে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়।