TAXNEWSBD
ভ্যাট ফাঁকি বন্ধে ৫০ হাজার ইএফডি মেশিন কেনা হচ্ছে
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
TAXNEWSBD

TAXNEWSBD

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, চিকিৎসক ও আইনজীবীদের কর বৃদ্ধির উপায় খোঁজা হচ্ছে। এ দুই পেশাজীবীর আয়ের বিষয়টি এখনো সবার কাছে পরিষ্কার নয়। একই অবস্থা বেসরকারি হাসপাতালগুলোরও। তাদের কর আরও বাড়ানো প্রয়োজন। শনিবার সকালে সিলেটে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর দরগাহ গেটের একটি অভিজাত হোটেলে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য মো. ফিরোজ শাহ আলম (কাস্টমস পলিসি), সদস্য কানন কুমার রায় (করনীতি), সদস্য আবদুল মান্নান শিকদার (ভ্যাটনীতি), কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার গোলাম মোহাম্মদ মনির, কর কমিশনার রঞ্জিত কুমার সাহা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মৃণাল কান্তি দেব, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. আসলাম উদ্দিনসহ চার জেলার ব্যবসায়ী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া আরও বলেন, বর্তমানে বাজেটের ৬৫-৭০ ভাগ এনবিআর থেকে দেয়া হয়। এ জন্য আয়করদাতার সংখ্যা বাড়াতে আমরা নিজেদের জনবল ও অবকাঠামো বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, ভিও অ্যাকাউন্টের জন্য এনবিআর নতুন কোনো নিয়ম চালু করেনি। এটা আগের নিয়মে হবে। অর্থাৎ টিআইএন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক নয়। পর্যটকদের ভ্যাট বাতিল করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আমাদের করের অংশ। তামাবিলে ব্যাংকের বুথ স্থাপন করা হলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি পর্যটকরাও সুবিধা পাবেন। তিনি বলেন, বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির তালিকা বাড়ানো হবে। তবে কোনো পণ্য দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হলে তা তালিকায় যুক্ত করা হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এজন্য সবগুলো স্থলবন্দরে স্ক্যানিং মেশিন বসানো হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ বলেন, আমদানি-রফতানিতে যেন ভ্যাট ফাঁকি দেয়া না হয় সেটি তদারকির জন্য ৫০ হাজার ইএফডি মেশিন কেনা হচ্ছে। এছাড়া কয়লা, চুনাপাথর ও পাথর আমদানিতে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করবেন বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, পাথর ও কয়লা আমদানির জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে নীতিমালা তৈরি করা হবে। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট শ্রেণীর কর অবকাশ বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে। ভ্যাট রেজিস্ট্রেশনের খরচও কমিয়ে আনা হবে। অগ্রিম করের ব্যাপারে তিনি বলেন, রি-ফান্ড সব ক্ষেত্রে হয় না। তবে পরবর্তী আমদানির সঙ্গে যেন সমন্বয় হয় সেই ব্যবস্থা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই চেম্বার সভাপতি খন্দকার শিপার স্বাগত বক্তব্য দেন। এরপর মুক্ত আলোচনা পরিচালনা করেন সিলেট চেম্বারের সহ-সভাপতি মো. এমদাদ হোসেন। সভায় বিভিন্ন প্রস্তাব উপস্থাপন করে বক্তব্য দেন চেম্বার পরিচালক মো. হিজকিল গুলজার, পিন্টু চক্রবর্তী, কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি চন্দন সাহা, সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, ভোলাগঞ্জ পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি মুজিবুর রহমান মিন্টু, সিএন্ডএফ এজেন্ট গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. বশিরুল হক, হবিগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক শেখ আনিসুজ্জামান, গণদাবী পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ, উইমেন্স চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, গণদাবীর কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি অধ্যাপক শফিকুর রহমান অ্যাডভোকেট, সুনামগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক নুরুল ইসলাম, কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবুল ফজল, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম পাঠান, সাংবাদিক কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, ফল ও কাঁচামাল আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি মো. আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা চৌধুরী, বিসিক শিল্প মালিক সমিতি গোটাটিকরের সাধারণ সম্পাদক আলীমুল এহছান চৌধুরী, রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মজনু মিয়া, সিলেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জিয়াউল হক, সিলেট চেম্বারের পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, সিলেট কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, সিলেট অনলাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী।