করোনাভাইরাসের প্রকোপের ফলে দেশে যে ধরনের দুর্যোগ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে বর্তমানে জাতীয় বাটেজ তৈরি করার মতো পরিস্থিতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মর আহ্বায়ক এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। শনিবার কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানসমূহের তৎপরতার কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সরকারের প্রতি সুপারিশ শীর্ষ এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে দেশের বেশকিছু স্থানে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সবধরনের অফিস আদালত বন্ধ করে সবাইকে বাসায় থাকতে বলা হচ্ছে। এ পরিস্থিতে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা পিছিয়ে যেতে পারে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে শোনা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দেবপ্রিয় বলেন, এই মুহূর্তে যে দুর্যোগ পরিস্থিতি চলছে, এই পরিস্থিতিতে আমাদের সমস্ত মনোযোগ থাকা উচিত পরিস্থিতি মোকাবেলার। এখন যে পরিস্থিতি আছে তাতে বাজেট তৈরির মতো পরিস্থিতি আছে বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, বাজেট বলতে শুধু ব্যয়ের কথা না, আয়ের কথাও চিন্তা করতে হবে। বাজেট নিয়ে স্থিতিশীল চিন্তা করার মতো পরিস্থিতি এই মুহূর্তে নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারপর বাজেট নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে।
জানা গেছে, বাজেট আইন বা অর্থবিল অনুযায়ী দেশে অর্থবছর শুরু হয় জুলাই মাসে আর শেষ হয় জুন মাসে। সে অনুযায়ী প্রতি বছর জুনের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করা হয়। উপস্থাপিত বাজেটের উপর দীর্ঘ আলোচনার পর সেটা পাস করা হয় জুন মাসের একেবারে শেষের দিকে। সে বাজেট কার্যকর হয় জুলাইয়ের প্রথম দিন হতে।
এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে সারাদেশে সরকারি ছুটি চলছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই ছুটি আরএ বাড়তে পারে। এজন্য বাজেট প্রণয়নের প্রস্তুতি বাধার মুখে পড়েছে।
সাধারণ ছুটির মধ্যে সবধরনের প্রাক-বাজেট আলোচনাও বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র ই-নথির মাধ্যমে অনলাইনে অতি জরুরি কিছু কাজ করছেন অর্থবিভাগের কর্মকর্তারা।
সাধারণত বাজেট প্রণয়নে মার্চ মাস থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন অংশীজনদের সাথে প্রাক-বাজেট আলোচনা করে থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারিতে অনিশ্চয়তায় পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনাও।