TAXNEWSBD
বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি ৮৫ হাজার কোটি টাকা
শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০ ২১:৩১ অপরাহ্ন
TAXNEWSBD

TAXNEWSBD

সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট ঘাটতি ৮৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজস্ব আহরণে এমন নাজুক অবস্থা আর কখনও দেখা যায়নি। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গেল অর্থবছরে এনবিআরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা। বিশাল ঘাটতির পাশাপাশি প্রবৃদ্ধিও নেতিবাচক বা ঋণাত্মক (গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কম আয়) হয়েছে। এনবিআরের সংশ্নিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, এটি সাময়িক হিসাব। এ সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে। এতে খাতভিত্তিক বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।

এনবিআর সূত্র জানায়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একবার ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। ওই সময় দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে রাজস্ব আয়ে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এর পরবর্তী বছরগুলোতে রাজস্ব আয় বাড়লেও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়নি।

মূলত করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অর্থনীতি বিপর্যস্ত হওয়ায় রাজস্ব আহরণে ধস নেমেছে। সাধারণত অর্থবছরের শেষ সময়ে বিশেষ করে মে ও জুনে রাজস্ব আদায় বাড়ে। রাজস্ব আহরণ কমে যাওয়ায় সরকারের নিয়মিত খরচ মিটাতে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে রেকর্ড পরিমাণ ঋণ নিয়েছে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পিআরআইএর নির্বাহী পরিচালক ডক্টর আহসান এইচ মনসুর বলেন, রাজস্ব ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার করতে হবে। পুরো রাজস্ব বিভাগের খোলনালচে বদলে ফেলতে হবে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ না বাড়ালে সরকার বড় ধরনের বিপদে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এনবিআরের সাবেক সদস্য ফরিদউদ্দিন বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়াতে হলে হিসাবের বাইরের অর্থনীতিকে (আন্ডার গ্রাউন্ড) মূল ধারায় আনতে হবে। এর জন্য আয়কর, ভ্যাট, কাস্টমস বিভাগকে একসঙ্গে সম্পৃক্ত করে অটোমেশন করতে হবে। তা না হলে কাঙ্ক্ষিত আদায় বাড়বে না।

কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক: রাজস্ব আহরণের এই দৈন্যদশার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেসা মো. রহমাতুল মুনিম। সূত্র জানায়, নতুন অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন ও প্রাক্কলিত লক্ষ্যমাত্রা কীভাবে অর্জন করা যায়, সে বিষয়ে কর্মকৌশল নির্ধারণ করতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে এনবিআর সদস্য রঞ্জন কুমার ভৌমিক, এনবিআর সদস্য (আয়কর নীতি) আলমগীর হোসেন বক্তব্য দেন। কর কমিশনারসহ মাঠপর্যায়ের সব কর্মকর্তা বৈঠকে অংশ নেন।