TAXNEWSBD
উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পরও আরও কয়েক বছর শুল্ক সুবিধা দরকার
সোমবার, ২০ জুন ২০২২ ১৭:৪৫ অপরাহ্ন
TAXNEWSBD

TAXNEWSBD

উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পরও বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোর আরও বেশ কয়েক বছর স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মতো শুল্ক সুবিধা দরকার। তিন দিন আগে শেষ হওয়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে এক মত হয়েছে সব দেশ। কত বছরের জন্য শুল্ক সুবিধা দেওয়া হবে- সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও বিষয়টির যৌক্তিকতা স্বীকার করে সম্মিলিত ঘোষণা এসেছে। আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।গত ১৭ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় শেষ হয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। এ সম্মেলন প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান রোববার সমকালকে বলেন, আমরা চেয়েছিলাম উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও আরও কয়েক বছর যেন এলডিসি হিসেবে দেওয়া সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখা হয়। এ বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে সবাই। তবে কত বছর বা কী ধরনের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হবে- সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। নীতিগত সিদ্ধান্তের আলোকে সংশ্নিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে ডব্লিউটিওর জেনারেল কাউন্সিল। পরবর্তী মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন থেকেও এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আগামী বছরের ডিসেম্বরে হবে সম্মেলনটি। শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

সব ধরনের যোগ্যতা অর্জন করায় এলডিসির কাতার থেকে বের হওয়ার পথে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালই উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার বছর। এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন বাজারে এলডিসি হিসেবে পাওয়া শুল্কমুক্ত সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। ২০২৯ সালের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতেও মিলবে না এ সুবিধা। বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশ আছে এ তালিকায়। এবারের ডব্লিউটিও সম্মেলনে তাদের প্রধান দাবিই ছিল, উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর আরও কয়েক বছর এলডিসির মতো শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া।এবার ছিল ডব্লিউটিওর মন্ত্রী পর্যায়ের ১২তম সম্মেলন। এই ফোরাম থেকে ছয় বছর পর সম্মিলিত কোনো ঘোষণা এলো। জেনেভা প্যাকেজ ঘোষণায় কভিড টিকার উপকরণে মেধাস্বত্ব সংক্রান্ত বিধিনিষেধ পাঁচ বছরের জন্য শিথিল করার সিদ্ধান্তও হয়েছে। এ ছাড়া আরও যেসব সিদ্ধান্ত এসেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- মন্ত্রী পর্যায়ের আগামী সম্মেলন পর্যন্ত ই-কমার্স পণ্যে শুল্ক আরোপ না করা. সংকটের সময়ে জাতিসংঘ খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) খাদ্য কেনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা বা বাধা আরোপ না করা ইত্যাদি।