২০২৫ সাল নাগাদ বার্ষিক একশ কোটি ইউএস ডলারের পণ্য রপ্তানি করতে চায় প্রাণ-আরএফএল। ২০৩০ সালের মধ্যে এটি দুইশ কোটি ডলারে নিয়ে যেতে চায় তারা। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৩ কোটি ২০ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে গ্রুপটি।রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী এসব কথা বলেন। প্রাণ-আরএফএলের পণ্য রপ্তানির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।আহসান খান চৌধুরী জানান, দেশের শীর্ষ ১০টি রপ্তানি খাতের মধ্যে সাতটি খাতে প্রাণ-আরএফএল পণ্য রপ্তানি করছে। কৃষি, প্লাস্টিক, তৈরি পোশাক, ফুটওয়্যার, হালকা প্রকৌশল, কেমিক্যাল ও ফার্নিচারসহ নানা খাতে উৎপাদিত পণ্য নিয়মিত রপ্তানি করছে তারা। অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য উৎপাদিত সব ধরনের পণ্যই ভবিষ্যতে রপ্তানি করা হবে।তিনি জানান, ১৯৯৭ সালে ফ্রান্সে পণ্য পাঠানোর মাধ্যমে রপ্তানি শুরু করে প্রাণ-আরএফএল। বর্তমানে ১৪৫ দেশে পণ্য রপ্তানি করছে গ্রুপটি। আগামীতে বিশ্বের সব দেশেই রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। দেশে উৎপাদন করে রপ্তানি করা হবে। সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে বিশ্বের ৪-৫টি দেশে পণ্য উৎপাদনের পরিকল্পনাও রয়েছে।
রপ্তানি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, প্রাণের পণ্য বিভিন্ন দেশের নামী-দামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ওয়ালমার্ট, ক্যারিফোর, লবলোজ, আলদি, লিডল, মাইডিন, ডলারামা ও টেসকোর মতো চেইনশপে জায়গা করে নিচ্ছে।করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা সংকটের মধ্যেও দেশের রপ্তানি খাত ভালো করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। কিন্তু জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি, পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রুটে লাইনার পরিষেবার সুযোগ ও পর্যাপ্ত কনটেইনার না থাকাসহ নানা কারণে সম্ভাবনার পুরোটা কাজে লাগানো যায়নি।দেশে কর্মসংস্থানে প্রাণ-আরএফএলের ভূমিকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে এক লাখ ৪৫ হাজার এবং বিদেশে তিন হাজার কর্মী রয়েছে তাদের।