TAXNEWSBD
ভোজ্যতেলে ভ্যাট অব্যাহতি থাকুক
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:২৫ অপরাহ্ন
TAXNEWSBD

TAXNEWSBD

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের দাম কমা সত্ত্বেও বাংলাদেশের ভোক্তারা এর সুবিধা পাচ্ছেন না। কারণ, আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে হয় যে মার্কিন ডলারে, সেটির দাম বেড়ে গেছে।বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে।  অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে বর্তমানে ১০ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) অব্যাহতি রয়েছে। এটি ভোক্তাদের স্বার্থে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। আগের দেওয়া অব্যাহতি এক সপ্তাহ পর অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হয়ে যাবে।ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করে ভোজ্যতেলের মূল্য ও সরবরাহে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে শুধু আমদানিতেই নয়, সেই সঙ্গে উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়েও ভ্যাট অব্যাহতি দরকার বলে মনে করে ট্যারিফ কমিশন।গত ৩০ আগস্ট বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয়, তার পরিপ্রেক্ষিতে ট্যারিফ কমিশন এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ১০ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতির গুরুত্ব তুলে ধরে ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, এনবিআর তা আমলে নেবে।প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে উৎপাদকের মুনাফা ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ, পরিবেশকের মুনাফা ৪ টাকা থেকে ২ টাকা ৫০ পয়সায় এবং খুচরা ব্যবসায়ীর মুনাফা ৬ টাকা থেকে ৪ টাকা ৫০ পয়সায় নামিয়ে আনা যেতে পারে।এ ছাড়া চিনির ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে উৎপাদকের মুনাফা ২ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ, পরিবেশকের ২ টাকার বদলে ১ টাকা এবং খচরা ব্যবসায়ীদের ৩ টাকা থেকে ২ টাকায় নামিয়ে আনা যেতে পারে।কোম্পানিগুলো বলে থাকে যে অপরিশোধিত সয়াবিন পরিশোধন করতে গেলে প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্ষতি হয় ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর চিনির ক্ষেত্রে এই হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে এ ক্ষতি ধরা হয়। প্রতিবেদনে সয়াবিনের ক্ষতি ৩ শতাংশ ও চিনির ক্ষতি ৪ শতাংশ ধরার সুপারিশ করা হয়েছে।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এখন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে কারখানাগুলো চলে। ফলে আগের মতো প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্ষতি আর হয় না।