ভোজ্যতেলের ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা আরও তিন মাস বাড়তে পারে। দেশে ডলারের দাম বৃদ্ধি ও বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নতুন করে ভাবছে।আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থানীয় ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখা হতে পারে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে দুই-এক দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।এক দফা সময় বাড়ানোর পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোজ্যতেলের ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা চলতি ২০২২ ২৩ অর্থবছরের পুরো সময় ভ্যাট সুবিধা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখার বিষয়ে এনবিআর নীতিগতভাবে সম্মত। তবে ডলারের সংকট ও আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, তা পর্যালোচনা করা হবে। সে ক্ষেত্রে আপাতত আরেক দফায় কয়েক মাসের জন্য ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা রাখা হতে পারে।
গত মার্চে স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তে শুরু করে। একপর্যায়ে এ দাম লিটারপ্রতি ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৯২ টাকা। সরকার ভোজ্যতেলের দাম ঠিক করে দেয়।গত ২০ সেপ্টেম্বর ভোজ্যতেলের ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল রাখার অনুরোধ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পাম তেলের দাম কিছুটা কমলেও ডলারের দাম বৃদ্ধির (আগে ১ ডলার সমান ৮৬ টাকার স্থলে বর্তমানে ১ ডলার সমান ১০৫ টাকা) কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের মূল্য আনুপাতিক হারে কমানো সম্ভব হচ্ছে না।তাই স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ১ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ৩০ জুন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।