মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি-রপ্তানি রোধে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে বন্দর থেকে পণ্য খালাসে সংশ্লিষ্ট সব ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টদের (সিএন্ডএফ এজেন্ট) তথ্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।আমদানি-রপ্তানিকারক ছাড়াও সিএন্ডএফ এজেন্টদের অ্যাসোসিয়েশনকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।গত ১৫ অক্টোবর এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করে এনবিআর। আগামী এক মাসের মধ্যে যেসব আমদানি-রপ্তানিকারক সিএন্ডএফ এজেন্টের তথ্য সফটওয়্যারের ডাটাবেজে যুক্ত করতে ব্যর্থ হবেন, তাদের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে বলে বলা হয়েছে এতে।জানা যায়, তথ্য সংগ্রহের পর এসব এজেন্টের তথ্য এনবিআরের ‘অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম সফটওয়্যারে এন্ট্রি দেওয়া হবে। এর ফলে কোন আমদানিকারকের কোন সিএন্ডএফ এজেন্ট তা সহজে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শনাক্ত করতে পারবে। এর ফলে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি বা বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি অনেকটাই বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করছে এনবিআর।নির্দেশনায় আরও বলা হয়, বাণিজ্যিক আমদানির সঙ্গে জড়িত, কোনো সিএন্ডএফ এজেন্টের তথ্য সফটওয়্যারের ডাটাবেজে না থাকলে তিনি কোনো ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবেন না।
সম্প্রতি রপ্তানির আড়ালে শত কোটি টাকা পাচারে একাধিক সিএন্ডএফ এজেন্টের সম্পৃক্ততা নজরে আসে। এনবিআরের নতুন উদ্যোগের ফলে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি-রপ্তানি অনেকটা কমে যাবে। আগে যেকোনো সিএন্ডএফ এজেন্ট আমদানি-রপ্তানিকারকের নামে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারতেন। নতুন এ ব্যবস্থায় প্রত্যেক ট্রেডারের জন্য ৩ জন সিএন্ডএফ এজেন্টের নাম সফটওয়্যারের ডাটাবেজে থাকবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না।এর আগে গত মার্চে বন্ড সুবিধার আওতায় আমদানি করেন, এমন আমদানিকারকদের সিএন্ডএফ এজেন্টকে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সফটওয়্যারের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয় এনবিআর।এনবিআরের শুল্ক বিভাগের তথ্যমতে দেশে বন্ড সুবিধার আওতায় তালিকাভুক্ত ৮ হাজার ৪২২ জন আমদানিকারক রয়েছে। সবমিলিয়ে আমদানি-রপ্তানিকারকের সংখ্যা ২০ হাজারের উপরে, এছাড়াও ১০ হাজার নিবন্ধিত সিএন্ডএফ এজেন্ট রয়েছেন। আর এ পর্যন্ত ৩ হাজার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সিএন্ডএফ অনুমোদন পেয়েছে এনবিআর।