TAXNEWSBD
স্যামসাংয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু
বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪ ০০:০৪ পূর্বাহ্ন
TAXNEWSBD

TAXNEWSBD

দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম বড় কোম্পানি স্যামসাং ইলেকট্রনিকসে চলমান ধর্মঘট অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে বলে জানানো হয়েছে। শুরুতে তিন দিনের জন্য ধর্মঘট ডাকা হলেও আজ বুধবার প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিক সংগঠন জানিয়েছে, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে দর-কষাকষির টেবিলে আনতে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়া হবে। এই ট্রেড ইউনিয়নটি হাজার হাজার শ্রমিককে প্রতিনিধিত্ব করে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বিশাল এই প্রযুক্তি কোম্পানির ইতিহাসে চলমান ধর্মঘট সবচেয়ে বড় শ্রমিক আন্দোলনের ঘটনা। চিপ তৈরির এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ বাড়াতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ মাত্র গত সপ্তাহেই জানিয়েছে, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তারা বিপুল পরিমাণ পরিচালন মুনাফা করতে যাচ্ছে। 

ন্যাশনাল স্যামসাং ইলেকট্রনিকস ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘(আমরা) জুলাইয়ের ১০ তারিখ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দ্বিতীয় সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছি। আলোচনা করতে কর্তৃপক্ষের কোনো ইচ্ছা নেই, এ কথা জানার পর আমরা এই ধর্মঘট ডেকেছি।’

ধর্মঘট শুরু হয় গত সোমবারে। সেদিন পাঁচ হাজারেরও বেশি শ্রমিক কাজ বন্ধ করে দেন। বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বাড়ানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে যে লড়াই চলছে, তারই অংশ হিসেবে এই ধর্মঘট ডাকা হয়। শুরুতে ঠিক করা হয়েছিল যে ধর্মঘট তিন দিন চলবে।স্যামসাংয়ে অনেক দিন ধরেই কোনো ট্রেড ইউনিয়ন ছিল না। এরপর জুনে প্রথমবারের মতো শ্রমিকেরা এক দিনের জন্য ধর্মঘট করে। ইউনিয়নের সদস্যসংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি। কোম্পানিতে যত শ্রমিক আছেন তার এক-পঞ্চমাংশের বেশি এই ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য।

কোম্পানিটি অবশ্য আজ জানিয়েছে, এই ধর্মঘটের কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, স্যামসাং ইলেকট্রনিকস এটা নিশ্চিত করবে যে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। ইউনিয়নের সঙ্গে সরল বিশ্বাসে দর-কষাকষি করতে কোম্পানি অঙ্গীকারবদ্ধ বলে ওই মুখপাত্র জানান।

তবে ইউনিয়ন বলছে, উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছে বলে পরিষ্কারভাবে দেখা গেছে। যত বেশি সময় ধরে ধর্মঘট চলবে, ততই কর্তৃপক্ষকে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। আরও বেশি শ্রমিককে ধর্মঘটে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়ে ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘শেষ পর্যন্ত তারা পরাজয় মেনে আলোচনার টেবিলে আসবে। জয় সম্পর্কে আমরা আশাবাদী।’