শেয়ারবাজার থেকে শেয়ারের নতুন করে আরও চার কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নেওয়ার পরও বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। গত বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
পাশাপাশি দরপতনের সর্বোচ্চ ৩ শতাংশের সীমাও তুলে নেওয়া হয়। এত দিন শেয়ারবাজারে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারত না। সেই সীমা তুলে নেওয়ায় এখন কোম্পানিভেদে শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমার সুযোগ রয়েছে।
ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার সূচক ও লেনদেন উভয়ই বেড়েছিল। এরপর আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেনও শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানে। পাশাপাশি লেনদেনের ক্ষেত্রেও গতি দেখা যাচ্ছে। লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪০ পয়েন্টের মতো বেড়েছে। এ সময়ে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৬৯ কোটি টাকা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৮ পয়েন্ট বেড়েছিল। দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৯৬৩ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহে ঢাকার বাজারে লেনদেনে আধিপত্য ছিল ব্যাংক খাতের। গত সপ্তাহে দৈনিক ভিত্তিতে ঢাকার বাজারে যে লেনদেন হয়েছে, তার প্রায় এক–চতুর্থাংশই ছিল ব্যাংক খাতের দখলে। সেখানে আজ দিনের শুরুতে ব্যাংক খাতের কোম্পানির শেয়ারে কিছুটা মূল্য সংশোধনের ধারা দেখা যাচ্ছে। এদিন ঢাকার বাজারে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ব্যাংকের শেয়ার রয়েছে মাত্র একটি।
কয়েক দিন ধরে ব্যাংক ও ভালো মৌলভিত্তির বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আধিপত্যের পর আজ রোববার প্রথম ঘণ্টার লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে মবিল যমুনা লুব্রিকেন্টস। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ার। ডিএসইতে লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টায় মবিল যমুনার ১৬ কোটি টাকার সমমূল্যের শেয়ারের হাতবদল হয়েছে। আর শাহজিবাজার পাওয়ারের সাড়ে ১৪ কোটি টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়। এই দুই কোম্পানির মধ্যে মবিল যমুনার শেয়ারের দাম কিছুটা বাড়লেও শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ারের দাম কমেছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার থেকে যে চারটি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো শাহজিবাজার পাওয়ার, খুলনা পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম। এ চার কোম্পানির মধ্যে আজ শাহজিবাজার ও খুলনা পাওয়ারের শেয়ারের দরপতন হয়েছে। বাকি দুটির শেয়ারের দাম বেড়েছে। শেয়ারবাজারে বর্তমানে দুটি কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপ রয়েছে। সেগুলো হলো বেক্সিমকো লিমিটেড ও ইসলামী ব্যাংক।