অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা আছে তবে চেষ্টা করেছে। এই সরকার সবকিছু করতে পারবে না। পরে যারা আসবে তারা যেন সংস্কার অব্যাহত রাখেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স (বিএসআরএফ) কার্যালয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্সের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন কত তাড়াতাড়ি যাবেন, আমি যে কোন সময় চলে যেতে প্রস্তুত আছি। আমার পুর্বের চাকরি (ব্র্যাক বিশ্বিবদ্যালয়) এখনও উন্মুক্ত রয়েছে।আমরা সমালোচনাকে স্বাগত জানাই, কিছু কিছু ভুল হয়, আপনারা (সাংবাদিকরা) ধরেন, আমরা চেষ্টা করি সুধরে নেওয়ার। অন্ধভাবে সাপোর্ট চাই না, আপনারা পজিটিভ সমালোচনা করবেন, আমরা চেষ্টা করব।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সব শর্ত মানা হয় না। এজন্যই অনেক সময় বলা হয়, আইএমএফের শর্ত ফেল করেছে বাংলাদেশ। সরকারের আয়ব্যয় ব্যালেন্স করতে হয়।
শিক্ষকদের অনেক দাবি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখছি, আগামী বাজেটে তাদের জন্য কী করা যায়। চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, রেমিট্যান্স সরাসরি না পাঠিয়ে হুন্ডিতে পাঠানো হলে সরকারি রিজার্ভে টাকাটি যুক্ত হয় না, এটি হচ্ছে নেতিবাচক দিক। আমাদের দেশের যারা প্রবাসী কর্মী তারা অধিকাংশই অদক্ষ। কিন্তু ভারত শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসী কর্মীরা দক্ষ, তারা লেখাপড়া করে যায়। এখন থেকে দক্ষ কর্মী পাঠানোর ওপরে জোর দিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা বলছেন কিছুই হচ্ছে না, তাদের কথা সঠিক নয়। কিছুটাতো হচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। আমাদের হয়ত ব্যর্থতা আছে। আমাদের ভুলত্রুটি থাকবে। আমরা বড় বড় ক্ষেত্রে হয়ত সংস্কার করতে পারবো না। কিন্তু এরপরে যারা রাজনৈতিক সরকার আসবে তাদের সক্রিয় হতে হবে।
অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে ভ্যাট বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইমিডিয়েট ট্যাক্স বাড়ানোর সুযোগ ছিল না, ১২ হাজার কোটি টাকা খুব বেশি নয়। পুলিশের ৩০০ গাড়ি পুড়িয়ে গেছে, কোথায় সেই টাকা কোথায় পাব, কোথা থেকে আসবে।