TAXNEWSBD
২৫-২৬ এর বাজেট হবে ভিন্ন ধরনের : ড. মো.আব্দুল মজিদ
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২৩:১৫ অপরাহ্ন
TAXNEWSBD

TAXNEWSBD

এবারের বাজেট গতবারের চেয়ে ভিন্ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) চেয়ারম্যান এবং এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো.আব্দুল মজিদ।

তিনি বলেছেন, এবারের ২০২৫-২৬ এর যে বাজেট আসছে সেটা গত ২৪-২৫ এর বাজেটের চেয়ে ভিন্ন হবে এবং হতে হবে। মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ২৪-২৫ এর যে বাজেট বানানো হয়েছে সেটা ছিল নির্বাচনের বছর। ক্লাসিক্যাল নিয়মানুযায়ী নির্বাচনের বছরে দুইটা বাজেট হয়। একটা হচ্ছে- প্রথম ৬ মাস যারা পুরোনো থাকেন তারা বাস্তবায়ন করবেন। আরেকটা হচ্ছে- যে সরকার আসবে তারা ঠিক করবে। গতবারের বাজেট এমনভাবে দেওয়া হয়েছে যে পৃথিবীতে মনে হয় কিছুই ঘটবে না, সবকিছু ঠিক থাকবে। এরকম একটা বিরাট একটা ব্যয়ের বাজেট তারা (শেখ হাসিনা সরকার) দিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পরে সেই পুরোনো বাজেট, ব্যয়ের বাজেটটা ঠিক রেখে আমরা কিন্তু চলছি। একটা অত্যন্ত ভঙ্গুর অর্থনীতি নিয়ে পরবর্তীকালে যে যাত্রা শুরু, এটার থেকে কাটিয়ে উঠা এবং সেটার জন্য যে সংগ্রাম চলছে, এর প্রেক্ষাপট আগের তুলনায় ভিন্ন। যার জন্য একটা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। সুতরাং এই প্রেক্ষাপটে ২৫-২৬ এর যে বাজেটটি হবে, সেটি হবে অন্যধরনের। এবারের বাজেটের আকার অনেক ছোট হবে। অকাজের, অপব্যয়ের, আত্মসাতের টাকা ফেরানোর, ঘুরানোর এসব ধান্দা এখানে থাকতে পারবে না এবং থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দ্রব্যমূল্য, রেমিট্যান্স ও রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। সবকিছু থেকেই একটা জিনিস বুঝা যাচ্ছে যে, আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ, রাষ্ট্রের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ রেমিনিউ; এগুলো থেকে আমাদের একটা বিকল্প পথ বের করতে হবে। গতকাল বাণিজ্য উপদেষ্টা যাকাত নিয়ে কথা বলেছেন। আমরা যেটা বলতে চাই সেটা হলো- দ্রব্য মূল্যের যে কশাঘাত এবং যে অবস্থা, উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান যদি না থাকে তাহলে এই অর্থনীতিকে নিয়ে যতই দোয়া-দরুদ পড়ি কোনো লাভ হবে না। এটা দাঁড়াতে পারবে না এবং দাঁড়ানো খুব কঠিন হয়ে যাবে।

এনবিআরের এই সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সমস্ত জাতিকে জাকাত দেওয়ার ব্যাপারে যদি উদ্বুদ্ধ করতে পারি এবং সবাই যদি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে যাকাতের টাকা দেন, তাহলে সে টাকা দিয়ে সরকারের সোশ্যাল সেপ্টিনেটের জন্য আলাদা বাজেট লাগবে না। বরং সোশ্যাল সেপ্টিনেট করে যদি দ্রব্যমূল্য ঠেকানো যায় তাহলে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যে বাজেটের জন্য হাহাকার করতে হবে না।