সরকারি সিকিউরিটিজে (ট্রেজারি বিল বা বন্ড) বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত মুনাফায় কোম্পানি করদাতার উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে আগের মতো উৎসে কর ১০ শতাংশই বহাল থাকবে। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে উৎসে করহারে এমন পরিবর্তন এনে অর্থ-সংক্রান্ত কতিপয় আইন (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত বাস ও পরিবহন খাতে কর সংগ্রহকে চূড়ান্ত করযোগ্য আয় হিসেবে গণনা করার বিধান সংযোজন করা হয়েছে নতুন সংশোধনীতে।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বৈঠকের বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এনবিআর-সংক্রান্ত আইনে যে পরিবর্তন আসছে, সেটি হচ্ছে ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স-সংক্রান্ত। প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেজারি বন্ডের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। এর আওতায় মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ সংশোধন করে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষ আদেশ দ্বারা ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের বিধান করা হয়েছে। আয়কর আইন, ২০২৩-এ সংশোধনের মাধ্যমে সরকারি সিকিউরিটি বা অনুমোদিত সিকিউরিটিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানি করদাতার উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত বাস ও পরিবহন খাতে কর সংগ্রহকে চূড়ান্ত করযোগ্য আয় হিসেবে গণনা করার বিধান সংযোজন করা হয়েছে। এতে কর প্রদান সহজ হবে। এ ছাড়া আগে এনবিআর নিজেই আয়কর অব্যাহতি দিতে পারত। এখন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের বিধান করা হয়েছে।