দশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের
No icon

বাজেটে শেয়ারবাজার

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিরাট অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে এবারের বাজেট বিশেষভাবে গুরুত্ববহ। একদিকে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে সচল রেখে মহামারী করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি দীর্ঘদিনের লকডাউন পরিস্থিতিতে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা সত্যিই সরকারের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। সরকার এবারের বাজেটে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার এক বিশাল বাজেট পেশ করেছে- যেখানে রাজস্ব আয়ের ঘাটতি ধরা হয়েছে ১৯০ হাজার কোটি টাকা, যে পরিমাণ অর্থ জিডিপির প্রায় ৬ শতাংশ। সাধারণত এদেশে বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখা হয়। তবে এবার বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবেলায় কিছুটা সম্প্রসারণমুখী বাজেট পেশ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি আয়ের করমুক্ত সীমা বৃদ্ধি, বিভিন্ন খাতে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ, কর অবকাশের ক্ষেত্র বাড়ানো, ব্যাংকে জমাকৃত নির্দিষ্ট অঙ্কের অতিরিক্ত ব্যালেন্সের ওপর প্রগ্রেসিভ হারে এক্সাইজ ডিউটি আরোপ, আয়করের স্তর বাড়ানোসহ বেশকিছু পরিবর্তনের জন্য বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া করোনা মোকাবেলা এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে আগের তুলনায় অধিক অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তিপর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। মহিলা, ৬৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়স, প্রতিবন্ধী সন্তানের মা-বাবা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সিলিংও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই এরূপ সিলিং বাড়ানোর দাবি ছিল এবং দেশের মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় করমুক্ত আয়ের সিলিং বৃদ্ধি করা দরকার হয়ে পড়েছিল। ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীসহ দেশের সব মধ্যবিত্ত শ্রেণি উপকৃত হবে।

এবারের বাজেটে প্রথমবারের মতো ব্যক্তি করদাতা আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করলে তাকে ইনসেনটিভ হিসেবে অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা কর রেয়াত দেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। এটি খুবই ভালো উদ্যোগ বলে মনে করি। অনলাইনে কর রিটার্ন সাবমিশন করার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরেই সরকার সবাইকে উৎসাহিত করছিল; কিন্তু বাস্তবে প্রত্যাশিত সাড়া মিলছিল না।

অথচ দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কর রিটার্নসহ অন্যান্য কার্যক্রম অনলাইনে সমাধা করার গুরুত্ব অপরিসীম। এবারে করোনা মহামারী প্রতিরোধের অংশ হিসেবে সরকার নির্দেশিত সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বাস্তবায়নে অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের গুরুত্ব আরও বেশি। সে কারণে ইস্যুটি বিবেচনায় আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে হলেও তার বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন ছিল, যা ২০০০ টাকা কর রেয়াত প্রদানের মাধ্যমে করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

পূর্বে কোনো ব্যক্তি করদাতার নিট পরিসম্পদ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত সারচার্জ মুক্ত ছিল, যা এবারের বাজেটে বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। দেশের স্বাভাবিক মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় সে সিদ্ধান্তটিও যৌক্তিক বলেই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ মনে করে। আয়কর রিটার্ন ফরম সহজীকরণ করে বিদ্যমান ফরমের পাশাপাশি ১ পৃষ্ঠার নতুন আয়কর রিটার্ন ফরমের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। এটি কার্যকরী করা গেলে দেশের সাধারণ করদাতাদের জন্য আয়কর ফরম নিজে নিজে পূরণ করে কর প্রদান করা সহজতর হবে। সেটি ভালো উদ্যোগ।

২০২০-২০২১ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে সব টিআইএনধারী ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলকভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে অর্ধেকের বেশি টিআইএনধারী আদৌ আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন না। অথচ দেশের উন্নয়নে প্রত্যক্ষ করের অবদান বাড়ানো খুবই দরকার। সে লক্ষ্যে বর্ণিত উদ্যোগ সহায়ক হতে পারে বিধায় তা প্রশংসনীয়। করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ সংশ্লিষ্ট সব সামগ্রীর কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো আর্থিকভাবে লাভবান হবে। এটি অবশ্যই প্রশংসিত পদক্ষেপ।

করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার লক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশকিছু পণ্য যেমন- চাল, আটা, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের বিপরীতে উৎসে আয়কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া, রসুন ও চিনি আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায় যেমন উপকৃত হবে, তেমনি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির ব্যবসা সেসব পণ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত (যেমন- অলিম্পিক, প্রাণ, ফুওয়াং ফুডস, গচিহাটা এগ্রিকালচারাল, বঙ্গজ ইত্যাদি কোম্পানি) তারাও আর্থিকভাবে লাভবান হবে, যা প্রকারান্তরে শেয়ার মার্কেটের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

দেশের শেয়ারবাজার দীর্ঘদিন ধরেই মারাত্মক মন্দা অবস্থায় রয়েছে। তাই হাজার হাজার বিনিয়োগকারীর অনেক প্রত্যাশা ছিল এবারের বাজেটকে ঘিরে। তারা আশায় বুক বেঁধেছিলেন যে, অর্থমন্ত্রী এমন কিছুর ঘোষণা দেবেন যার ফলে মার্কেট ঘুরে দাঁড়াবে। দুঃখজনকভাবে বলতে হয় যে, বিনিয়োগকারীদের সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সত্যিকারভাবে মন্দা শেয়ারবাজারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে এমন কোনো সিদ্ধান্ত এবারের বাজেটে নেই।

যদিও অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ৬টি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সে পদক্ষেপগুলো হচ্ছে- ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পর্যালোচনা, আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানো, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ এবং সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা। ঘোষিত পদক্ষেপের সবই প্রশংসাযোগ্য। তবে অধিকাংশ পদক্ষেপের বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা করা হয়নি, ফলে সেসবের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। বাজেট ঘোষণা-পরবর্তী সূচক পতনের মাধ্যমেই সে বাস্তবতা ফুটে উঠেছে।

পুঁজিবাজারের সঙ্গে জড়িতদের বড় দাবি ছিল যে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বিশেষত ব্যাংক, লিজিং কোম্পানি, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন কোম্পানিসহ নানা খাতের আয়কর হার কমানো এবং সেই সঙ্গে অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের বিদ্যমান পার্থক্য আরও বৃদ্ধি করা। এরূপ প্রস্তাবের পেছনে যুক্তি এই ছিল যে করহারের পার্থক্যে উৎসাহিত হয়ে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসতে আগ্রহী হবে। কিন্তু বাজেট প্রস্তাবে সেটা মোটেই ঘটেনি; বরং উল্টো হয়েছে।

ব্যাংকবহির্ভূত অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির বর্তমান করহার ৩৫ শতাংশ। বাজেটে তা আড়াই শতাংশ কমিয়ে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তদুপরি, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমানো হয়নি, যা বর্তমানে ২৫ শতাংশ রয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের দাবি ছিল, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার। বাজেট প্রস্তাবে তা আসেনি। ফলে উভয় শ্রেণির কোম্পানির করহার গ্যাপ না বেড়ে বরং বিদ্যমান ১০ শতাংশ থেকে কমে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে। এতে পুঁজিবাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে কতিপয় শর্তসাপেক্ষে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের যে সুযোগ দেয়া হয়েছে, তা ভালো প্রস্তাব। তবে একই ধরনের সুবিধা কতিপয় অন্যান্য খাত যেমন- সঞ্চয়পত্র, জমি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির ক্ষেত্রেও দেয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারের তুলনায় সেসব খাত অনেক কম ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই সে সুযোগ শুধু শেয়ারবাজারের জন্য প্রযোজ্য করা যায় কিংবা প্রস্তাবিত ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ হারে কর শেয়ারবাজারের ক্ষেত্রে কার্যকর করার বিধান করা যায়। তাছাড়া, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে তিন বছর লক-ইন পিরিয়ডের শর্ত প্রত্যাহার করা যেতে পারে।

৪. বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের প্রধান চালিকাশক্তি হল ব্যাংক, বীমা এবং আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। সেসব খাতের কোম্পানি সংখ্যা যেমন বেশি, তেমনি অধিকাংশেরই পেইড আপ ক্যাপিটাল অনেক বেশি। ফলে বাজার মূলধন কমা-বাড়ায় সেসব খাতের প্রভাব অনেক বেশি। পেইড আপ ক্যাপিটাল বেশি হওয়ার কারণে সেসব খাতের শেয়ারের দামের সামান্য হ্রাস-বৃদ্ধিতেই সূচকের উল্লেখযোগ্য হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে।

অথচ এসব খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানির নিট আয়ের উপর ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে আয়কর প্রদেয়, যেখানে তালিকাভুক্ত ও ব্যাংকবহির্ভূত অন্যান্য সাধারণ কোম্পানির করহার মাত্র ২৫ শতাংশ। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নানাবিধ কারণে সমস্যায় জর্জরিত। সে বিবেচনায় তাদের করহার অন্যান্য সাধারণ খাতের লিস্টেড কোম্পানির মতো ২৫ শতাংশ হারে করারোপ করা হলে অন্তত করোনা মহামারীর মতো দুর্যোগকালীন ব্যাংকিং খাত কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারত। এর ফলে ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ভালো ডিভিডেন্ড পেত এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ লাভ করত। প্রস্তাবিত বাজেটে সে ধরনের ঘোষণা না এলেও বাজেট পাশের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত সেরূপ সংশোধনী আনয়নের সুযোগ রয়েছে।

সব শেষে বলা যায়, প্রস্তাবিত বাজেট পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের অনেক দাবি বাজেটে একেবারেই উপেক্ষিত থেকে গেছে। এমনকি বেশকিছু প্রস্তাবনা ক্ষতির কারণ হবে বলেও অনেকেই মনে করছেন। আর সেজন্য বাজেট পেশের পর থেকেই সিএসই, ডিএসই, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ নানাবিধ সংস্থা তাদের স্বার্থরক্ষায় বাজেটে ঘোষিত অনেক প্রস্তাবনা পুনর্বিবেচনা করতে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিদিন আবেদন নিবেদন করে যাচ্ছেন।

কথা হচ্ছে, পর্যাপ্ত রাজস্ব আয় অর্জন ব্যতিরেকে সব দাবি মানা সরকারের জন্য সত্যিই কঠিন কাজ। তাই সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশকে ট্যাক্স নেটওয়ার্কের আওতায় আনা গেলে রাজস্ব বাড়ানো যাবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য বিভাগীয় শহরে রয়েছে অসংখ্য বহুতল ভবন। সেসব ভবনের মালিকদের কত শতাংশ আয়কর দেন, তা আয়কর বিভাগের লোকজনেরই জানা থাকার কথা। তবে সাধারণভাবে অনুমান করা যায়, তাদের বড় অংশই কর দেন না বা দিলেও তা যৎসামান্য।

কর যথাযথভাবে না দিলেও তাদের বোধ করি তেমন সমস্যায় পড়তে হয় না। কারণ, আয়কর বিভাগের লোকজন সশরীরে কখনও উপস্থিত হলে নানাভাবে তাদের ম্যানেজ করা হয় বলে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায়। তাই কর বৃদ্ধির স্বার্থে আয়কর বিভাগ প্রতিটি এলাকার প্রতিটি ভবনের ডাটাবেজ তৈরি করে কে ট্যাক্স দিচ্ছেন বা দিচ্ছেন না, তার বিস্তারিত তথ্য এলাকাভিত্তিক তালিকা আকারে ওয়েবসাইট, স্থানীয় পত্রিকা এবং গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে নোটিশ আকারে ঝুলিয়ে দিতে পারে। ফলে লাজলজ্জার ভয়ে হলেও অনেক ভবন মালিক কর দেবেন এবং ফলে ট্যাক্স নেটওয়ার্ক বাড়বে বলে আশা করা যায়।