ইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের
No icon

দাম বাড়ল শাকসবজি মুরগির

সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। মুরগির দামও বেড়েছে। তবে কমেছে পেঁয়াজ-রসুনের দর। আর অপরিবর্তিত রয়েছে মশুর ডাল, তেল, লবণসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। শুক্রবার রাজধানীর কমলাপুর, মতিঝিল, আরামবাগসহ বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সবজি জাতীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে এর সঙ্গে বাজেটের কোনো সম্পর্ক নেই। সপ্তাহের ব্যবধানে অন্যান্য সময় যেভাবে কিছু পণ্যের দাম বাড়ত, এবারও তাই ঘটেছে।

কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বাজারে বর্তমানে পটল ৪০-৫৫ টাকা, ঝিঙা-চিচিঙা-ধন্দুল ৪০-৬০ টাকা, কাকরোল ৬০-৭০ টাকা, করলা ও উস্তা ৬০-৭০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি টমেটো ৪০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০-৬০ টাকা, বেগুন ৪০-৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম বাড়ার বিষয়ে কমলাপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা রিপন মিয়া বলেন, বর্তমানে অনেক সবজির মৌসুম না হওয়ায় পাইকারি বাজারে সেগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি রয়েছে। তাছাড়া সবজির দাম সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। পাইকারি বাজারের দাম অনুপাতে খুচরা বাজারে পণ্য বিক্রি করি। গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে মুরগির দর।

সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৫৫-১৬০ টাকা, লেয়ার ২২০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা।

মুরগির দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত আছে ডিমের দর। বর্তমানে প্রতি ডজন লাল ডিম (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৪৫-১৬০ টাকা, সোনালি মুরগির ১২৫-১৩৫ টাকা, হাঁসের ১২০-১৩০ টাকা, কোয়েল প্রতি ১০০ পিস ডিম ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির দাম বৃদ্ধি বিষয়ে মতিঝিল কাঁচাবাজারের মুরগি বিক্রেতা ইসমাইল হোসেন বলেন, ঈদের আগে পাইকারি বাজারে মুরগির সংকট থাকায় দাম বেশি ছিল। পাইকারি বাজারে গত সপ্তাহে সরবরাহ বেশি ছিল তাই দামও কম ছিল। দুদিন ধরে আবারও মুরগি সংকট ঠাটারি ও কাপ্তান বাজারে। এ কারণে সেখানে দাম বাড়তি থাকায় খুচরাতেও বেড়েছে দাম। দাম বাড়তি রয়েছে মাছের বাজারেও।

বাজারে দাম বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচকি মাছ ৩৮০-৪২০ টাকা, মলা ৪০০-৪৫০ টাকা, ছোট পুঁটি (তাজা) ৫৫০-৬০০ টাকা, ছোট পুঁটি ৩০০-৪০০ টাকা, টেংরা মাছ (তাজা) ৭০০-৮০০ টাকা, দেশি টেংরা ৫০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি শিং (আকারভেদে) ৩০০-৫৫০ টাকা, পাবদা ৩২০-৫৫০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪০০-৭০০ টাকা, বাগদা ৫৫০-১০০০ টাকা, হরিণা ৪০০-৫৪০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩৫০-৫৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২০০-৩২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, কৈ ১৮০-২০০ টাকা, কাতল ২০০-৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ ১০০০-১০৫০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০, ছোট ইলিশ আকারভেদে ৩৮০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে দাম কমেছে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের। কেজিতে পাঁচ টাকা কমে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা, কেজিতে ২০ টাকা কমে রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। কেজিতে ১০-২০ টাকা কমে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ১৪০-১৫০ টাকা।