দশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের
No icon

আগামী বাজেটের প্রস্তাবনা চেয়েছে ভ্যাট বিভাগ

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের জন্য প্রস্তাবনা ও সুপারিশমালা চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ। সব মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিল্প ও বণিক সমিতি, ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন, পেশাজীবী সংগঠন এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা ও সুপারিশমালা চাওয়া হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই প্রস্তাবনা ও সুপারিশ পাঠাতে হবে। গত রোববার এনবিআরের (মূসক আইন ও বিধি) দ্বিতীয় সচিব মো. তারেক হাসানের সই করা এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়। চিঠিতে বলা হয়, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণ এবং পদ্ধতিগত জটিলতা নিরসনকল্পে প্রতি অর্থবছরে বাজেটে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় এনবিআরের মূল্য সংযোজন কর অনুবিভাগ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। রাজস্ব আদায়ে সবার প্রচেষ্টাকে সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। তাই বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক, ২০১২, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬, দ্য এক্সসাইজ অ্যান্ড সল্ট অ্যাক্ট, ১৯৪৪ এবং এসব আইনের অধীনে প্রণীত সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন, আদেশের ওপর মতামত, প্রস্তাব ও সুপারিশ দেওয়া যাবে। চিঠিতে দেওয়া নির্দিষ্ট কাঠামো অনুযায়ী সিডি বা পেনড্রাইভে করে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রস্তাব বা সুপারিশ পাঠাতে হবে।

মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক আইন ও বিধিমালার গেজেট কপি এনবিআরের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

সরকারের রাজস্ব আহরণ ও বাজেট প্রণয়নে রাজস্ব নীতিমালা প্রস্তুত করে এনবিআর। একটি অংশগ্রহণমূলক, গণমুখী ও সুষম বাজেট প্রণয়নে বরাবরই বিভিন্ন পর্যায়ের করদাতা, বিভিন্ন শিল্প ও বণিক সমিতি, ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন, পেশাজীবী সংগঠন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দেশের বুদ্ধিজীবী মহলের কাছ থেকে বাজেট প্রস্তাব আহ্বান করে থাকে। রাজস্ব আহরণ পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে এনবিআর। প্রতিবছর ভ্যাট, কাস্টমস ও আয়কর বিভাগ থেকে পৃথক প্রস্তাব চাওয়া হয়। এ ছাড়া এনবিআর থেকেও আলাদা প্রস্তাবনা চাওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারি স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক নাজনীন আহমেদ বলেন, আমি সব সময় প্রস্তাব বা সুপারিশের বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখি। এর আগেও বিভিন্ন সময় বাজেটের আগে বিভিন্ন গ্রুপে গ্রুপে অর্থমন্ত্রী বসেছেন। আমরাসহ বিভিন্ন মহল প্রস্তাবনা দিয়েছি। তবে কতটুকু নেওয়া হয়েছে, সেটা একটা প্রশ্ন। একদম নেওয়া হয়নি তা হয়তো বলছি না। তবে এটা দেখা প্রয়োজন, যাঁদের কাছ থেকে তাঁরা মতামত নিচ্ছেন, তাঁরা তা শুনছেন কি না। এর আগে বাজেটের আগে যত গ্রুপের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়, ভ্যাট বা এনবিআর বাদ দিয়ে সার্বিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হয় তা শোনা হয়। তবে এখন তো ফেব্রুয়ারি মাস, মোটাদাগে বাজেটের পরিকল্পনা হয়ে গেছে। এখন প্রস্তাবনায় কতটুকু কাজ হবে জানি না। কাঠামোগত কোনো প্রস্তাবনা দিলে হয়তো দেখা হবে।