অনলাইননির্ভর ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে ই-কমার্স হিসেবে বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর অবকাশ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা এবং আয়কর প্রদানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম শূন্য দশমিক ১ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত গেজেট পর্যালোচনাসহ ই-কমার্স খাতের জন্য বাজেট প্রস্তাবনা শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ই-ক্যাবের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল বাজেটের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ই-কমার্সকে জনপ্রিয় করার স্বার্থে সরকার আগামী বাজেটে যেন কর অবকাশ সুবিধা অব্যাহত রাখে। ক্রেতারা যাতে অনলাইনমুখী হতে পারেন এবং অনলাইনে কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
তিনি বলেন, এ খাতটির প্রযুক্তি ও বাণিজ্য দুই খাতেই সমান গুরুত্ব রয়েছে। সেজন্য সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা এখানে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কীভাবে, কতটুকু দায়িত্ব বাস্তবায়ন করবে অচিরেই তা সুস্পষ্ট করা হোক। সেজন্য বাস্তবে দোকান থাকলেও কোনো প্রতিষ্ঠানের যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে থাকে তবে তাদেরও যেন কর অবকাশ সুবিধার অধীনে নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরও বলেন, দ্রুততম সময়ে গেজেট আকারে ই-কমার্স নীতিমালা প্রকাশ নিঃসন্দেহে সরকারের একটি সাহসী উদ্যোগ। দেশের ই-শিল্পায়নে এই গেজেট মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। শমী কায়সার বলেন, গেজেটে বাংলাদেশি কোম্পানি ও বিদেশি কোম্পানি সমতাভিত্তিক মালিকানার ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের নির্দেশনা রয়েছে। এটি করলে দেশের ই-কমার্সকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যাবে।
ই-ক্যাবের প্রস্তাবনাগুলো : সার্বিক দিক বিবেচনা করে ই-কমার্স ডেলিভারি সার্ভিস, পেমেন্ট সার্ভিস, ক্রস বর্ডার ই-কমার্স, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ, জনসচেতনতা, গ্রাম পর্যায়ে ই-কমার্স সেবা পৌঁছে দেয়া, ভোক্তা অধিকার, পণ্যের মান ও প্রতিযোগিতামূলক দাম নিয়ন্ত্রণ, অনলাইন ও ওয়েব সুরক্ষা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাবের পরিচালক নাসিমা আক্তার নিশা, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, অর্থ সম্পাদক আবদুল হক প্রমুখ।