করোনা সংক্রমণ রুখতে ভারতে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন শুরু হয়েছিল গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে। টানা ৭৮ দিনের লকডাউনের পর ধীরে ধীরে শুরু হয় আনলক পর্ব। লকডাউনের জেরে চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল, মে, জুন) জিডিপি সংকুচিত হয়েছিল ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে সংকুচিত হয়েছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থনীতির ভাষায় পরপর দুটি ত্রৈমাসিকে জিডিপির সংকোচন হলে ‘মন্দা’ ঘোষিত হয়।
কোভিডের ধাক্কায় মন্দা কাটিয়ে অবশেষে প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরল ভারতীয় অর্থনীতি। সম্প্রতি দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর (এনএসও) জানাল, ২০২০-২১ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৪ শতাংশ। কোভিড সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে গত দুটি ত্রৈমাসিকে তলানিতে চলে গিয়েছিল দেশটির অর্থনীতি। তাই শেষ দুটি ত্রৈমাসিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বাড়লেও পুরো অর্থবছরের জিডিপি ৮ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এনএসও।
সেই ঋণাত্মক বৃদ্ধি কাটিয়ে এবার প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরল ভারতের জিডিপি। তৃতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর) জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দশমিক ৪ শতাংশ বলে জানাল এনএসও। ডিসেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে জিডিপির প্রবৃদ্ধি দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্বের ৫৮ জন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি প্যানেল।
২০২০-২১ অর্থবছরের জিডিপির এই শোচনীয় অবস্থা থেকে পরবর্তী আর্থিক বছরে অবশ্য পুরোপুরি ছন্দে ফেরার পূর্বাভাস আগেই দিয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষাকারী সংস্থা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ভবিষ্যদ্বাণী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ।