বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুবিধা দাবি করেছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। তবে তাদের দাবি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক বাজেট আলোচনায় এমন সুপারিশ করে সংগঠনটি। বাজেট আলোচনার সুপারিশে রিহ্যাব জানায়, আবাসন ক্রেতাদের ক্ষেত্রে প্রথম ফ্ল্যাট কেনার জন্য অর্থের উৎস প্রদর্শন না করার সুযোগসহ আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ধারা ১৯-এর পুনর্প্রবর্তন করা প্রয়োজন। আবাসন খাতের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য গৃহায়ন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ ফ্ল্যাট, প্লট, বাণিজ্যিক ভবন ও বিপণিবিতানে বিনিয়োগের সুবিধা বহাল রাখা প্রয়োজন বলেও মনে করে সংগঠনটি। সেই সঙ্গে এর ফলে জাতীয় সম্পদ ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে বলেও জানায় তারা।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, অপ্রদর্শিত টাকা বাড়ি কেনার জন্য দিতে হবে, এ ধরনের দাবি প্রতি বছর করাটা মানায় না। তাহলে অনবরত অর্থনীতিতে কালো টাকা তৈরি হবে, আর আপনারা বাড়ি কিনবেন।এনবিআর চেয়ারম্যান আরো বলেন, গ্র্যাজুয়েশন একটা চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ নিতে হলে দ্রুত আমাদের শিল্পে বিকাশ ঘটাতে হবে। মেড ইন বাংলাদেশ পণ্যে জোর দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় টেলিভিশন বাইরে থেকে আনতে আনতে দেশে বানানো শুরু হয়ে যায়। গাড়ির ক্ষেত্রেও আমদানির পাশাপাশি দেশে বানানো শুরু করতে হবে। উৎপাদিত গাড়ি রপ্তানিও করতে হবে।বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) তাদের প্রস্তাবে নন বন্ড ট্যানারির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ৩ শতাংশ করা (বর্তমানে ৫ শতাংশ), ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশের স্থলে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা ও রপ্তানি প্রণোদনার ওপর বিদ্যমান ১০ শতাংশ উৎস করের পরিবর্তে ৩ শতাংশ করার দাবি জানায়।লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়ার ম্যানুফ্যাচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) তাদের প্রস্তাবে জানায়, উৎস কর কর্তন বর্তমানে ১ শতাংশ নির্ধারিত আছে। তারা এই হার ০ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করে।