ইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের
No icon

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কাস্টমস-ভ্যাট বিভাগের একদিনের বেতন

করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দুস্থ, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষ। এসব অসহায় মানুষের সহায়তা করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে সহায়তা করে যাচ্ছে। জরুরি মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাকাএভ) উদ্যোগে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের দিনের বেতন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে দেয়া হয়েছে। রোববার (১০ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেয়া হয়।

চেক তুলে দেন বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এনবিআর সদস্য (গ্রেড-১) খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান, সংগঠনের মহাসচিব, মূসক, নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মুসফিকুর রহমান।

এ ছাড়া বাংলাদেশ কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাকাএভ) আহ্বায়ক খন্দকার লুৎফল আজম, সদস্য সচিব মো. মজিবুর রহমান ও ঢাকাএভ সভাপতি মো. মাজহারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, করোনা সংকট মোকাবিলায় রাজস্ব আহরণে কাস্টমস ও ভ্যাট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দিন-রাত কাজ করছেন এবং ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মহাসচিব সৈয়দ মুসফিকুর রহমান বলেন, এ মহামারিতে আমরা আমাদের নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি দুস্থ, অসহায় ও কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে একদিনের বেতন অনুদান হিসেবে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাকার বাইরে কয়েকটি জেলায় দুস্থ, অসহায় ও কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারিতে সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেও থেমে নেই কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ। জরুরি আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সচল রাখা, সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও উন্নয়নের অক্সিজেন রাজস্ব আহরণে কাস্টম হাউস, শুল্ক স্টেশন, নৌ-বন্দর, স্থল বন্দর, বিমানবন্দরে সেবা নিশ্চিত এবং সরকারের পদক্ষেপ বেগবান ও কার্যকরী করতে কোনো ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন রাজস্ব যোদ্ধারা।