ইআরডি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী বাড়ছে দেশি-বিদেশি ঋণের ঝুঁকিজুন নাগাদ আয়কর রিটার্ন ৪৫ লাখে উন্নীত হবেউল্কা গেমসের কর ফাঁকির ৫০ কোটি টাকা আদায়ে ব্র্যাক ব্যাংকে এনবিআরবাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেই
No icon

অর্থনীতির চালকের আসনে বসবে বেসরকারি খাত: অর্থমন্ত্রী

আগামী ৫ বছর হবে প্রো-ডেভেলপমেন্ট, প্রো-গ্রোথ, প্রো-ম্যানুফ্যাকচারিং, প্রো-এক্সপোর্ট ও প্রো-এমপ্লয়মেন্ট। অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর দিন মঙ্গলবার আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে তার সাবেক দফতরে বসে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, একদিকে বেসরকারিনির্ভর প্রবৃদ্ধি হবে, ম্যানুফ্যাকচারিং খাত বিকশিত করব, কৃষি খাত অবশ্যই থাকবে এবং সেবা খাত অনেক দূর এগিয়ে যাবে। যে খাতের জন্য যেটি প্রয়োজন সেটি করা হবে। অর্থনীতির ড্রাইভিং সিটে বসবে বেসরকারি খাত। তিনি বলেন, আপনারা বলেন- বেসরকারি খাত চলে গেছে। টাকা-পয়সা নিয়ে চলে গেছে। আমি বিশ্বাস করি তাদের ফেরত পাব। ব্যবসায়ীরা যদি সুযোগ-সুবিধা পায়, তা হলে কল্পনার চেয়ে বেশি বিনিয়োগ পাব। যারা চলে গেছেন বা বিনিয়োগ করছেন না, তারা ফেরত আসবে।

নতুন সরকারের অর্থমন্ত্রী বলেন, একদিকে করহার কমানো হবে, আরেকদিকে রাজস্ব বাড়ানো হবে। যাদের কর দেয়া দরকার তাদের কর দিতে হবে। আমি খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেব। সবাইকে নিয়ে বসব মিটিং করব। কোন খাতে কত রেট করলে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় করা যাবে।

যারা কর দেবেন তাদের ক্ষতিগ্রস্ত না করে, আহত না করে, ব্যথিত না করে কতটা কর আদায় করলে মঙ্গলজনক সে কাজটি করব। করহার কমালে যদি আহরণ বেশি হয় সে কাজটিই করব।

মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হলেও একটি জায়গায় বিতর্ক আছে। সেটি হচ্ছে- আর্থিক খাতে খারাপ অবস্থা। তবে যতটা শুনতে পাই ততটা খারাপ নয়। যদি ব্যাংকিং বা আর্থিক খাত অতটা খারাপ হতো, তা হলে সার্বিক অর্থনীতি এতটা উন্নত হল কীভাবে।

অর্থনীতিতে গতি এলো কীভাবে, প্রবৃদ্ধি হল কীভাবে। তবে যেখানে যেটুকু সমস্যা আছে তা সমাধানের জন্য আমি ব্যবস্থা নেব। আমি মনে করি, সহজ উপায় হচ্ছে সংস্কার।

যেসব জায়গায় দীর্ঘদিন হাত দেয়া হয়নি, সেখানে হাত দেয়া হবে। অর্থনীতিতে অনেক সবল দিকের সঙ্গে দুর্বল জায়গাও রয়েছে। পুরনো অনেক আইন আছে সেগুলো এখনও কার্যকর। এসব বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।

সদ্যবিদায়ী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রশংসা করে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী অনেক কিছু করেছেন। অর্থনীতি গতিশীল করতে মুহিত ভাইয়ের অবদান রয়েছে। তিনি যে বয়সে কাজ করেছেন আমরা ওই বয়সে সেটি পারব কিনা জানি না।

তিনি বলেন, আমরা এতদিন অনেক অবকাঠামো তৈরি করেছি, সেগুলো এগিয়ে চলছে। মানুষকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যাওয়া এবং তাদের মধ্যে যখন বিশ্বাস জন্ম হবে, তখনই তারা সম্পূর্ণরূপে কাজে এগিয়ে আসবে।

আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজেট নতুন কিছু নয়। তবে বাজেট শুধু এক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নয়। বাজেটে এ বছরের কথা থাকবে এবং আগামী ৫ বছরে কী থাকবে তার প্রতিফলন ঘটবে।

এখনকার এবং আগামী ৫ বছরের চাহিদা নিরূপণ করতে হবে। তার পর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

অর্থনীতিবিদদের বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অর্থনীতিবিদদের মধ্যে যাদের কথা বলা হয়, তারা সবসময় শঙ্কা ও আতঙ্কের কথা বলেন, ঝড়-ঝাপটা, টাইফুন আর ভূমিকম্পের কথা বলেন।

তারা স্বপ্নেও ভূমিকম্প দেখে। এ রকম চিন্তা করলে হবে না। আমি যদি জানতাম আমি কখন মারা যাব তা হলে তো ইনজয় করতে পারব না। আমার কথা বিশ্বাস করুন, আমার কথা শুনুন তা হলে লাভ হবে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি গত ১০ বছর এক ঘণ্টার জন্যও পিছিয়ে যায়নি। এখনও পেছাচ্ছে না। এতদিন টেকঅফ স্টেজে ছিলাম এখন টেকঅফ করব।