দশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের
No icon

বেপজার ইজেডে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে

বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ- বেপজা। এরই মধ্যে ১১৩৮ একর এলাকাজুড়ে নির্মিত এ অঞ্চলের ৭৫ শতাংশ জমির মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। আর পুরো প্রকল্পের সার্বিক কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৫৫ শতাংশ।

কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে বেজার অথনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণে মহাপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। শিল্পাঞ্চলের পুরো কাজ শেষ হলে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে ৩০০ থেকে ৩৫০টি কারখানা স্থাপন করার কথা রয়েছে। এসব কারখানায় বিনিয়োগ আসতে পারে প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের। এতে রপ্তানি আয় বাড়তে পারে তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের।

বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য প্লট বরাদ্দ পেতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৪০টি প্লট তৈরি করা হলেও দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৩০০টি।

এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে মোট ৫৩৯টি শিল্প প্লট করার পরিকল্পনা রয়েছে বেপজার। প্রতিটির আয়তন ৩৬০০ বর্গমিটার। প্রথম পর্যায়ে প্রকল্পের আওতায় ১৪০টি প্লট তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে দেশি-বিদেশি ৭৮টি কোম্পানির প্রায় ৩০০ আবেদন জমা পড়েছে। যাচাই-বাছাই করে চীন, হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও কুয়েতের ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১১৯টি প্লট সাময়িক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে প্রায় ৫৩ কোটি ডলারের। জাপানের বিনিয়োগকারীদের থেকে সবচেয়ে বেশি প্লট চেয়ে আবেদন আসছে বলে জানা গেছে।

বর্তমানে বেপজার অধীনে আটটি ইপিজেড রয়েছে। এগুলো হলো- ঢাকা, চট্টগ্রাম, মোংলা, ঈশ্বরদী, কুমিল্লা, উত্তরা, আদমজী ও কর্ণফুলী ইপিজেড। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ২০ শতাংশ আসে বেপজার ইপিজেড থেকে।

বেপজার জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক নাজমা বিনতে আলমগীর সমকালকে বলেন, অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগের জন্য ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। দেশি-বিদেশি বহু কোম্পানি আবেদন করেছে। এখন পর্যন্ত ৫৭টি কোম্পানি আবেদন করলেও ১৮টিকে সাময়িকভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিনিয়োগ আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।