অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ দাম বাড়াচ্ছে পাইপেরমেট্রোরেলের ভাড়ায় বসছে ১৫% ভ্যাটকৃষি ও নিত্যপণ্যে শুল্ক না বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকরছাড় কমাতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীবাড়তি রাজস্ব সংগ্রহে করছাড় ও অব্যাহতি কিছুটা কমাবে এনবিআর
No icon

নতুন বছরের প্রত্যাশা করোনার ধাক্কা কাটিয়ে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে, ব্যবসা বাড়বে, এমন প্রত্যাশা নিয়ে ২০২২ সাল শুরু হয়েছিল। কিন্তু বছরের শুরুতে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ আবার সবকিছু ওলট-পালট করে দেয়। বছরের মাঝামাঝি এসে ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং ডলার-সংকটে ঋণপত্র খোলা কমে যায়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ছোট–বড় সব ধরনের ব্যবসায়।

আমরা ওষুধ, খাদ্যপণ্যের ব্যবসা করি। চট্টগ্রামে প্রথম ওষুধ কোম্পানি হিসেবে গত জুনে রপ্তানিও শুরু করেছি। খাদ্যপণ্যও রপ্তানি হচ্ছে। তবে সমস্যা হচ্ছে, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ওষুধ কিংবা খাদ্যপণ্যের কাঁচামালের আমদানি খরচ বেড়ে গেছে। তাতে রপ্তানিতে মুনাফা কমে গেছে।
রপ্তানি বাজারে আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে। অন্য দেশের তুলনায় আমাদের ওষুধ ও খাদ্যপণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে খরচ বেড়েছে। যেমন বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম না বাড়লেও শুধু ডলারের কারণে আমদানিতে খরচ বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি।

উৎপাদন ব্যয় বাড়লে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা কঠিন হয়ে যায় রপ্তানিকারকদের। এমনও হচ্ছে, প্রণোদনা নিয়েও রপ্তানিতে প্রত্যাশিত মুনাফার দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ছোট ও মাঝারি রপ্তানিকারকের অনেকে রপ্তানিতে টিকে থাকতে লড়াই করছে।
নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে—ডলার–সংকট কাটিয়ে অর্থনীতি গতিশীল হবে। ডলার–সংকট না হলে কাঁচামালের দামও কমে আসবে। কাঁচামালের দাম কমলে বৈশ্বিক বাজারেও আমাদের উপস্থিতি বাড়বে। সুখবরের প্রত্যাশা দিয়ে শুরু হোক নতুন বছরের পথচলা।