বাড়বে ভ্যাট, বাড়তি দামের চাপে ভুগতে হবে ভোক্তাদের। অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ দাম বাড়াচ্ছে পাইপেরমেট্রোরেলের ভাড়ায় বসছে ১৫% ভ্যাটকৃষি ও নিত্যপণ্যে শুল্ক না বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকরছাড় কমাতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
No icon

হাইপার স্কেল ডেটা সেন্টার স্থাপনে দুই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ভারতীয় কোম্পানি ইয়োটা ডেটা সার্ভিসেস

বাংলাদেশে একটি হাইপার স্কেল ডেটা সেন্টার বা বড় ধরনের তথ্যভান্ডার পার্ক স্থাপনে দুই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ভারতীয় কোম্পানি ইয়োটা ডেটা সার্ভিসেস। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ইয়োটার ডেটা সেন্টার পার্কটি স্থাপন করা হবে। কোম্পানিটি সেখানে ২৮ দশমিক ৮ মেগাওয়াট আইটি বিদ্যুৎ–ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি পৃথক ডেটা সেন্টার ভবন নির্মাণ করবে, যেখানে মোট ৪ হাজার ৮০০টি র‌্যাক থাকবে। ডেটা সেন্টারের র‌্যাক হলো একধরনের কাঠামো, যাতে সার্ভার ও অন্যান্য সরঞ্জাম রাখা হয়।

 ইয়োটা ডেটা সার্ভিসেস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে প্রথম ডেটা সেন্টার ভবনটি ২০২৪ সালে চালু হবে। আগামী চার-ছয় বছরের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হবে আশা করা হচ্ছে। ভারতের ব্যবসায়ী গোষ্ঠী হিরানন্দানি গ্রুপের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হলো ইয়োটা ডেটা সার্ভিসেস, যারা ডেটা সেন্টার ও ক্লাউড ব্যবসা পরিচালনা করে। ইতিমধ্যে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বৃহত্তর নয়ডা ও মহারাষ্ট্রের নাবি মুম্বাইতে দুটি ডেটা সেন্টার পরিচালনা করছে এই কোম্পানি।

ইয়োটা ডেটা সার্ভিসেস বলছে, বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ বিদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণচেষ্টার একটি অংশ এবং এ ক্ষেত্রে তারা সবচেয়ে বেশি নজর দিচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি। কোম্পানিটি মনে করে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশই ডিজিটাল রূপান্তরের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে।

১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায়ী ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে এবিপি ইনফোকম সম্মেলন। সেখানে ডেটা পরিষেবায় বিনিয়োগ নিয়ে প্রযুক্তি খাতের সরকারি-বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন ইয়োটার সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুনীল গুপ্তা। বাংলাদেশে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়ে সুনীল গুপ্তা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইয়োটার ঢাকা ডেটা সেন্টার পার্ক শুধু এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের আধুনিক ডেটা সেন্টার অবকাঠামো ব্যবহারের সুবিধা দেবে তা–ই নয়, আমাদের ডিজিটাল সেবা ব্যবহার করে তাঁরা নিজেদেরকে রূপান্তর করতে পারবেন। এর ফলে একটি সত্যিকার ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে তাঁরা আরও এগিয়ে যাবেন।’