ইআরডি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী বাড়ছে দেশি-বিদেশি ঋণের ঝুঁকিজুন নাগাদ আয়কর রিটার্ন ৪৫ লাখে উন্নীত হবেউল্কা গেমসের কর ফাঁকির ৫০ কোটি টাকা আদায়ে ব্র্যাক ব্যাংকে এনবিআরবাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেই
No icon

ডিজিটাল অর্থনীতি থেকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

সুনির্দিষ্ট তথ্য ও নীতিমালা না থাকায় ডিজিটাল অর্থনীতি থেকে কাঙ্ক্ষিত হারে কর আদায় করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। যথাযথ নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এ খাত থেকে প্রচুর রাজস্ব আহরণের সুযোগ গ্রহণের সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল অর্থনীতি থেকে কর আদায় সংক্রান্ত এক সংলাপে এসব কথা বলা হয়। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।মূল প্রবন্ধে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। খুব দ্রুত দেশের অর্থনীতির একটা বড় অংশ হবে ডিজিটাল ইকোনমি। বর্তমানে বিক্ষিপ্তভাবে এ খাত থেকে রাজস্ব আদায় করা হলেও তা সামান্য। বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে একটি তথ্যভান্ডার গঠনসহ এ খাতের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে আরও বেশি রাজস্ব আহরণের সুযোগ রয়েছে। তবে অযৌক্তিকভাবে কর আরোপ করে সম্প্রসারণশীল খাতটি যাতে মুখ থুবড়ে না পড়ে, সে বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ফেসবুক, গুগল, অ্যামাজনের মতো অনাবাসী প্রতিষ্ঠান থেকে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আদায় করা হলেও আয়কর আদায় করা সম্ভব হয় না। ২০১৯ সালের জুনে হাইকোর্টকে দেওয়া বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী পাঁচ মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন বাবদ এসব প্রতিষ্ঠান ৮ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা আয় করেছে। অথচ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে, এ সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় মাত্র ১৩৩ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য দরকার। একইভাবে ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে কী পরিমাণ অর্থ দেশে আসছে, তার সঠিক তথ্য নির্ধারণ করে যৌক্তিক কর আরোপ করার সুপারিশ করা হয়।মূল প্রবন্ধে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ২০২১ সালে ডিজিটাল অর্থনীতির আকার ছিল ৫৬০ কোটি ডলারের। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬০ কোটি ডলার। আগামী ২০২৬ সালে এর পরিমাণ হতে পারে ১ হাজার ৫০ লাখ ডলার। দেশের কর-জিডিপির অনুপাত বাড়াতে এ খাত থেকে রাজস্ব বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশ হলে রাজস্ব আদায় থেকে প্রশাসনিক কার্যক্রম পর্যন্ত সবকিছু অটোমেশন হবে। তখন রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আরও বাড়বে। একই সঙ্গে গুগল, ফেসবুক, টুইটারের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি রাজস্বের আওতায় আনা যাবে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিশেষ অতিথি ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আহসান আদিলুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে, গুগল, ফেসবুকের মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ থেকে বিলিয়নের বেশি টাকা নিয়ে গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলছে, ১৩৩ কোটি টাকা। তাদের কাছ থেকে যথাযথ রাজস্ব আদায় জরুরি।