সিগারেটে কার্যকর করারোপ না করায় রাজস্ব হারিয়েছে সরকারআরও এক মাস বাড়ল রিটার্ন জমার সময়এনবিআর আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের যাত্রা শুরুনকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর দাবিঅনলাইনে ৯৬ ঘণ্টা ভ্যাট কার্যক্রম বন্ধ থাকবে
No icon

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ২ বিলিয়ন ডলার দিতে পারে: মার্টিন রেইজার

চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তাসহ সব মিলিয়ে ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার সহায়তা দিতে পারে। চলমান প্রকল্পের অর্থ ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে—এমন সম্ভাবনাও আছে। এতে অর্থের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
আজ সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।

মার্টিন রেইজার বলেন, উপদেষ্টার সঙ্গে কাঠামোগত সংস্কার, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার নিয়ে কথা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব কাজে সহায়তা করবে। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার। এই অঞ্চলে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সবচেয়ে বড় ও ঘনিষ্ঠ অংশীদার। আমরা এই অংশীদারি অব্যাহত রাখতে চাই।’ সহায়তার প্রসঙ্গে মার্টিন রেইজারের বক্তব্য, ‘দেখুন, এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় পর্ষদ বৈঠকে। তাদের পক্ষ থেকে আমার পক্ষে অঙ্গীকার করা সম্ভব নয়। আমি অঙ্গীকার করলেও তারা বিষয়টি ভালোভাবে নেবেন না।’ তবে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের জন্য ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু দেওয়া হবে বাজেট সহায়তা হিসেবে; বাকিটা দেওয়া হবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে, যেমন স্বাস্থ্য ও জ্বালানি খাতে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারের চাহিদা অনুযায়ী আরও প্রকল্পে সহায়তা দেওয়া হবে। 

বাংলাদেশের জন্য কোথা থেকে কী দেওয়া যায়, বিশ্বব্যাংক তা খতিয়ে দেখছে বলে মন্তব্য করেন মার্টিন রেইজার। বিশ্বব্যাংকের যে আইডিএ বা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন আছে, সেই তহবিল থেকে কী করা যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে প্রসঙ্গে বলেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে, যেমন বাজেট সহায়তা, স্বাস্থ্য ও জ্বালানি, সার আমদানি, খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা ইত্যাদি। সেই সঙ্গে বন্যা–পরবর্তী পুনর্বাসন, রোহিঙ্গা সংকট—এসব বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক এসব বিষয়ে খুবই ইতিবাচক। কোন বিষয়ে সহায়তা দেওয়া হবে, তা একরকম পরিষ্কার। অন্যান্য সংস্থার সঙ্গেও তারা সমন্বয় করবে।