সিগারেটে কার্যকর করারোপ না করায় রাজস্ব হারিয়েছে সরকারআরও এক মাস বাড়ল রিটার্ন জমার সময়এনবিআর আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের যাত্রা শুরুনকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর দাবিঅনলাইনে ৯৬ ঘণ্টা ভ্যাট কার্যক্রম বন্ধ থাকবে
No icon

আইএমএফের বাড়তি ঋণ সহায়তার সিদ্ধান্ত পর্ষদ সভায়

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভার সাইডলাইনের বৈঠকে বাংলাদেশের অনুকূলে আইএমএফের বাড়তি ঋণ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। আইএমএফের নির্বাহী কমিটি বা পর্ষদ সভার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। নভেম্বরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের শুরুতে ওয়াশিংটনে আইএমএফের সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। অনেকেই ধারণা করেছিলেন বার্ষিক সভার বৈঠক চলার সময়েই বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের সাইড লাইনের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।

সূত্র জানায়, নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে আগের সরকারের রেখে যাওয়া ডলার সংকট মোকাবিলার জন্য আইএমএফের কাছে চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় আরও ৩০০ কোটি ডলার বাড়ানোর জন্য চিঠি দেয়। এতে আইএমএফ নীতিগতভাবে সম্মত হয়। সেপ্টেম্বরে আইএমএফের একটি মিশন বাংলাদেশ সফর করে গেছে। ওই সময়ে তারা দেশের সার্বিক অর্থনীতির চিত্র মূল্যায়ন ও ঋণের শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছে। এ বিষয়ে মিশন শেষ করার সময় আইএমএফ একটি বিবৃতিতে বলেছিল, সরকারকে বাড়তি ঋণ সহায়তা দিতে আইএমএফ প্রস্তুত। তবে এ বিষয়ে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভার সময়ে সাইড লাইনে আরও আলোচনা হবে।

ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভা শনিবার শেষ হয়েছে। রোববার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বৈঠক শেষ হবে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে একটি প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, অর্থ সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব প্রমুখ।

প্রতিনিধিদলটি বার্ষিক সভা চলার সময়ে সাইড লাইনে আইএমএফের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে। ওইসব বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বাড়তি ঋণ সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এতে আইএমএফের পক্ষে আরও কিছু নতুন সংস্কারের কথা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে বলা হয়েছে, সরকার সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলো করতে সময় লাগবে।