চীনের বাজারে প্রবেশে বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে আসছে। এখন থেকে এই সুবিধা পাবে বাংলাদেশের আরও এক শতাংশ পণ্য। ফলে এখন থেকে বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ পণ্য চীনে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।রোববার (৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বিষয়ে চারটি সমঝোতা স্মারক সই চারটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।পরে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে চীন আরও এক শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশ এখন থেকে চীনের বাজারে ৯৯ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। এর মধ্যে পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে আলোচনায় উঠলে ওয়াং ই শিগগির আটকে পড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চীনের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চীনের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। এজন্য দ্রুতই ভিসা ইস্যু শুরু হবে।এর আগে দুদিনের সফরে শনিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন ওয়াং ই। সফর শেষে রোববারই তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের উত্তেজনা ও তাইওয়ান ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি যে তাইওয়ান ইস্যুতে আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি মানার বিষয়টিতে তারা জোর দেয়। তারা আমাদের কাছে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। এক চীন নীতি নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের জন্য তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমরা আমাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছি বলে তিনি (ওয়াং ই) কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।