দেশে উৎপাদিত প্রসাধনীতে করের বোঝা, আমদানিতে ছাড়ভোজ্যতেল আমদানিতে কমলো ভ্যাটখেজুর আমদানিতে শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের সুপারিশঅনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল ও নিবন্ধন করবেন যেভাবেনবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেওয়া হচ্ছে ১০ বছরের কর অব্যাহতি
No icon

ভোগ্য পণ্যে শুল্ক কমানোর পরামর্শ

বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্য উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে কোনো না কোনো পণ্যের দাম। অন্যদিকে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চাহিদায় কাটছাঁট করেও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।বর্তমানে শুধু নিম্নবিত্ত কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্তই নয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নাকাল মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্তরাও। এমন পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের স্বস্তিতে রাখতে দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি ভোগ্য পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।এদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে আগামী বাজেট চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে সব ধরনের উদ্যোগ নিতে বলেছেন।একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ভাতাভোগীর সংখ্যা বাড়াতে বলেছেন। সম্প্রতি গণভবনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন।বর্তমানে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি, যা এক বছরের বেশি সময় ধরে একই অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সর্বশেষ তথ্য মতে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশ, যা এক বছর আগেও এর অর্ধেক ছিল।

আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা এবং ডলারের সঙ্গে টাকার অবমূল্যায়নের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। টাকার মূল্য যখন হ্রাস পায় আমদানির্ভরতার কারণে তখন দেশে মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যায়। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ট্যাক্সের পরিমাণও বেড়ে যায়।এতেও মূল্যস্ফীতির ওপর প্রভাব পড়ে। ফলে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য, যেগুলো সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে, সেগুলোতে করের বোঝা শূন্য কিংবা সহনীয় পর্যায়ে রাখা উচিত। অবশ্য রাজস্ব বাড়ানোরও প্রয়োজন আছে। এর জন্য এনবিআরকে প্রত্যক্ষ কর এবং কর ফাঁকি রোধে আরো বেশি নজর দিতে হবে।তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির কারণে দরিদ্র মানুষের ওপর যেসব নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, সেগুলোকে সহনীয় করতে সামাজিক নিরাপত্তা বলয় বাড়াতে হবে। আবার মানুষকে সাহায্য নির্ভর করাও উপযুক্ত পদক্ষেপ না। এর জন্য মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, আয়-রোজগার যাতে বাড়ে সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।