দেশে উৎপাদিত প্রসাধনীতে করের বোঝা, আমদানিতে ছাড়ভোজ্যতেল আমদানিতে কমলো ভ্যাটখেজুর আমদানিতে শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের সুপারিশঅনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল ও নিবন্ধন করবেন যেভাবেনবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেওয়া হচ্ছে ১০ বছরের কর অব্যাহতি
No icon

চীনে শুল্ক সুবিধা পেয়েও বাড়ানো যায়নি রপ্তানি

চীন বাংলাদেশের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হলেও দুই দেশের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এই বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে চীনা বিনিয়োগকারীদের দেশে উন্নত প্রযুক্তি ও তৈরি পোশাক খাতের সংযোগ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। তাঁদের আশা, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফরে এই বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেবে বাংলাদেশ।চীনে শুল্ক সুবিধা পেয়েও বাড়েনি রপ্তানি" সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, চীন বিশ্বের বড় রপ্তানিকারক ও দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ।একই সঙ্গে দ্বিতীয় আমদানিকারক দেশ। এই বাজারে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও উন্নত প্রযুক্তি ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতার অভাবে কাজে লাগাতে পারছে না।এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে। এ ছাড়া দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে এ বিষয়ে যৌথ ঘোষণা আসতে পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার সমান চীনা মুদ্রা আরএনবি ঋণ সহায়তা চাইবে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এমওইউ বিষয়ে গত ২৬ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানে হয়েছে।গতকাল বুধবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। এ ছাড়া চীনও এ বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেছে বলে তিনি জানান।২০২২ সালে চীনের বাজারে ৯৯ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলেও বাংলাদেশ সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে না। বরং দেশটিতে রপ্তানি আরো কমেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে ৬৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পণ্য।অন্যদিকে এর আগের অর্থবছরে তা ছিল ৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। একই সঙ্গে কমেছে দেশটির বিনিয়োগ।বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) তথ্য অনুসারে সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ এসেছে ৯ কোটি ৩২ লাখ ডলার। পাঁচ বছর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ১১৫ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। ২০০০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশটির মোট বিনিয়োগ ১২৫ কোটি ৬২ লাখ ডলার।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২৪ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৪০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ৬৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। চীন দুই হাজার ২৯০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আরো বলেন, বাংলাদেশ প্রধানত তৈরি পোশাক, পাট, পাটজাত পণ্য, মাছ ও চামড়া রপ্তানি করে থাকে। এটি চীনের মোট আমদানির ০.০৪ শতাংশ মাত্র। এ ছাড়া বাংলাদেশ আমদানি করে তেল, ক্রুড, ইলেকট্রনিক সার্কিট, যন্ত্রপাতি, পাম অয়েল, পেট্রোলিয়াম গ্যাস। বৈশ্বিক বাণিজ্য সংস্থা ডাব্লিউটিওর তথ্য মতে, ২০২২ সালে দেশটি ২.৭২ টিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। দেশটিতে যদি মাত্র ১ শতাংশ পণ্য রপ্তানি করতে পারে, তাহালে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২৭ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৭০০ কোটি ডলারে উন্নীত হবে।