মূলধনি মুনাফার করহার কমাল এনবিআরআয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়বে কিনা, জানাল এনবিআরচাল আমদানিতে আরও ২৩ শতাংশ করভার কমালো সরকারবছরে আয় সাড়ে ৩ লাখের নিচে হলে কর দিতে হবে নাচাল আমদানিতে শুধু ২% অগ্রিম আয়কর দিতে হবে
No icon

আগামী মাস থেকে রপ্তানি আয়ও কমবে

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, টাকার অঙ্কে বা মূল্যভিত্তিক রপ্তানি বাড়লেও পরিমাণের দিক (অর্ডারের) থেকে প্রবৃদ্ধি হয়নি। বরং আগের বছরের তুলনায় পোশাকপণ্য রপ্তানি আয় কমেছে, আগামী মাস থেকে মূল্যভিত্তিক রপ্তানি আয়ও কমে যাবে।গতকাল শনিবার বিজিএমইএর সভাকক্ষে পোশাকশিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিজিএমএর ভাইস প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, প্রধানত দুটি কারণে রপ্তানি অর্ডার ক্রমাগত কমছে। প্রথমত, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য কাঁচামালের দাম বেড়েছে। এ কারণে আমাদের উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, যার প্রভাব পোশাকের দামের ওপর পড়েছে।দ্বিতীয়ত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের শিল্পের মূল্য সংযোজিত পণ্যে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ হয়েছে। আমাদের বেশ কিছু কারখানা অপেক্ষাকৃত উচ্চমূল্যে পণ্য রপ্তানি করছে। ফলে পোশাকের ইউনিট প্রাইস বেড়েছে। সুতরাং আমাদের যে হারে মূল্যভিত্তিক প্রবৃত্তি হয়েছে, সেই অনুপাতে পরিমাণভিত্তিক প্রবৃদ্ধি হয়নি।

সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী পোশাকশিল্প উদ্যোক্তাদের পণ্য বহুমুখীকরণের ওপর জোর দিতে বলেছেন। আমরা মনে করি, তার ঐকান্তিক সহায়তায় বিগত বছরগুলোতে বাজার বহুমুখী করতে সক্ষম হয়েছি। একইভাবে যদি সরকারের নীতিগত সহায়তা পাই, তবে পণ্য বহুমুখীকরণেও বিশেষ করে ননকটন খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সফল হবেন খাতসংশ্লিষ্টরা।ফারুক হাসান বলেন, ক্রেতারা বর্তমানে বড় অর্ডার না দিয়ে ছোট ছোট স্লটে অর্ডার দিচ্ছেন, ফলে কারখানা পর্যায়ে আমাদের উৎপাদন পরিকল্পনা বিপর্যস্ত হচ্ছে। করোনার ক্ষত সেরে উঠতে না উঠতেই আমরা নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যার প্রভাব পড়েছে আমাদের অর্থনীতি ও শিল্পে।বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, আমাদের প্রধান বাজারগুলোতে, বিশেষ করে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। উন্নত দেশের এসব ভোক্তা ভোগ্যপণ্যের ব্যয় কমিয়ে দিয়েছেন, ফলে কমে আসছে পোশাকের চাহিদা। তাই পোশাকের অর্ডার কমিয়ে দিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে অফ প্রাইস বা ডিসকাউন্টেড পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ছে। আবার আমরা দেখছি যে ক্রেতারা তাদের সোর্সিং কৌশল পরিবর্তন করছেন, একসঙ্গে বড় অর্ডার না দিয়ে ছোট ছোট স্লটে অর্ডার দিচ্ছেন, ফলে কারখানা পর্যায়ে আমাদের উৎপাদন পরিকল্পনা বিপর্যস্ত হচ্ছে।