ইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের
No icon

আয়কর আইনের খসড়া প্রকাশ করলো এনবিআর

আয়কর অধ্যাদেশের সহজীকরণ ও কিছু পরিবর্তন করে আয়কর আইনের খসড়া প্রণয়ন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আইনটিতে সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। রোববার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচার রাজস্ব ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, প্রস্তাবিত খসড়া আইনটি অংশীজনদের মতামত ও পরামর্শ নেওয়ার জন্য এনবিআরের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত এ ব্যাপারে অংশীজনদের পরামর্শ নেওয়া হবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। বর্তমানের আয়কর অধ্যাদেশটি ১৯২২ সালের। একশো বছরের পুরোনো এই অধ্যাদেশটি যুগোপযোগী ও সহজীকরণ করার মাধ্যমে আইনে রূপান্তর করে খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।

অধ্যাদেশটি আগে অনেক জায়গায় অস্পষ্ট ও দুর্বোধ্য ছিল উল্লেখ করে তিনি জানান, এবার এটিকে বাংলা ভাষায় সহজবোধ্য করে আইনে রূপান্তর করা হয়েছে। এখন আইনটি করদাতাবান্ধব ও সহজ ভাষায় প্রণয়ন করা হয়েছে, যাতে করদাতা, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টরা সহজেই বুঝতে পারেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগের আইনে কোনো একটা বিষয় বোঝার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা লাগতো। এখন আইনটির একই বিষয়ের সব বিধান একই জায়গায় সন্নিবেশ করা হয়েছে। এতে আইন পরিপালন অনেক সহজ হবে।

আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, খসড়াটি চূড়ান্তভাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে উপস্থাপনের আগে অংশীজনদের সঙ্গে কর্মশালা ও সেমিনার করা হবে। পাশাপাশি খসড়ার বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত এনবিআর (আয়কর নীতি) সদস্য মো. আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বর্তমান আয়কর আইনটিতে ব্যাংক হিসাবে স্বয়ংক্রিয় কর প্রত্যাবর্তনের (রিফান্ড) বিধান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত কর পরিশোধ করলে তা সরাসরি ব্যাংক হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেরত যাবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে করদাতার জন্য ই-কর ব্যবস্থাপনা বিধানও খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করদাতাদের অফিসে আসার দুর্ভোগ পোহানো থেকে রেহাই পাওয়ার পাশাপাশি সময় ও খরচ কমে যাবে।