ইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের
No icon

কর আদায় মোবাইলে নিয়ে আসার পরামর্শ ড. আতিউর রহমানের

মো. আখতারুজ্জামান : দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অর্থ প্রয়োজন। আর সেই অর্থ আয় করতে হলে কর কাঠামো সহজ থেকে সহজতর করতে হবে। এক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় কর সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এনবিআর ও ব্যাংকগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে এটি সহজেই করা যায় বলে অভিমত জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের কর আদায় বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে মোবাইলে খুব সহজেই প্রতি মাসে যাতে কর দেয়া যায় সেই পদ্ধতি নেয়া যেতে পারে। বেতন থেকে একটি অংশও কেটে রাখার ব্যবস্থা নেয়া যায়। কেননা কানাডাসহ অনেক দেশেই এটি চালু আছে।

এ ক্ষেত্রে তিনটি প্রস্তাব রাখেন তিনি। বলেন, কর আদায় উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।

১. সমস্যা নিরসনে জনশক্তি নিয়োগ দেয়া ও মামলা হলে কোর্টে ভালো আইনজীবী দেয়া।

২. পারস্পারিক আলোচনা করে সমাধান করা।

৩. করে ডিজিটালাইজেশন করা। তথা অনলাইন মোবাইলে সহজে কর আদায় করা।
শনিবার মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস আয়োজিত জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩: পর্যালোচনা শীর্ষক ওয়েনিবারে এসব কথা বলেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ ও ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি শারমীন রিনভী।
ড. আতিউর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু শুধু আবেগের জায়গা নয় বরং এটি ভুটান, নেপাল, পশ্চিমবঙ্গ, আসামের সাথে উপ-আঞ্চলিক ব্যবসায়িক জোনে পরিণত হবে। ট্রান্স এশিয়া হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবো। সুতরাং আমাদের ব্যাংক, আইসিটি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন প্রকল্পে স্টার্টআপের জন্য যে বাজেট আছে তার বিশাল একটি অংশ এখানকার মানুষের জন্য বিনিয়োগ করা দরকার। পাকিস্তানের ভারতের সঙ্গে ৭০ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা ছিল সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা দূর থেকে পণ্য আনার চেয়ে কাছের দেশগুলো হতে পণ্য আনলে পারলে খরচ অনেক কমে যাবে। আর পদ্মা সেতুর কারণে বছরে ১.২৬ শতাংশ জিডিপিতে যুক্ত হবে, রেলে ১ শতাংশ, ২১ জেলায় ৩.৫ শতাংশ জিডিপি বাড়বে, ১.২ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বছরে ২ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এর প্রভাব পুরো অর্থনীতিতে পড়বে। মূলত পদ্মা রুপান্তরবাদী প্রকল্পে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।