সহজ ভ্যাট ব্যবস্থাপনা-আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চান ব্যবসায়ীরাকরমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না, সুবিধা হারাতে পারে বড় রপ্তানি খাতমাইক্রোবাসে শুল্ক প্রত্যাহার দাবিমার্কিন শেয়ারবাজারে ধস, ডলারের দাম সর্বনিম্ন ২০২৩ সালে দেশের রাজস্ব ক্ষতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা
No icon

জ্বালানি তেলের আগাম কর প্রত্যাহার হচ্ছে

মূল্য সহনীয় রাখতে আগামী বাজেটে সব ধরনের জ্বালানি তেল আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার (এআইটি) করা হচ্ছে। এতে বাজারে তেলের দাম স্থিতিশীল থাকবে এবং মূল্যস্ফীতি সহনীয় মাত্রায় রাখতে সাহায্য করবে। বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ ঘোষণা দেবেন। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।আগামীতে বাজারমূল্যে জ্বালানি তেল বিক্রির চিন্তা করছে সরকার। বেশি কর থাকলে তেলের দামও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর তেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর কাছে এনবিআরের মোটা অঙ্কের রাজস্ব পাওনা রয়েছে। সেসব রাজস্ব সময়ে সময়ে খাতা-কলমে সমন্বয় করা হয়। এছাড়া তেলের মূল্যের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছুর সরাসরি একটি প্রভাব রয়েছে। তাই এ খাতে মনোযোগ দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অপ্রত্যাশিতভাবে ওঠানামার কারণে আমদানি করা তেলের শুল্কায়নে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী বাজেটে আমদানি পর্যায়ে তেলের বিদ্যমান অগ্রিম আয়কর, ট্যারিফ ভ্যালু ও ন্যূনতম মূল্য প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 পেট্রোলিয়াম তেল, ক্রুড তেল, এইচবিওসি টাইপের মোটর স্পিরিট, এভিয়েশন স্পিরিটসহ অন্যান্য স্পিরিট, স্পিরিটের মতো জেট ফুয়েল, সাদা স্পিরিট, ন্যাপথা, জে.পি-১ কেরোসিন টাইপ জেট ফুয়েল, জে.পি-৪ কেরোসিন টাইপের জেট ফুয়েল, অন্য কেরোসিনের মতো জেট ফুয়েল, কেরোসিন, হালকা ডিজেল তেল, হাইস্পিড ডিজেল অয়েল ও ফার্নেস তেলসহ ১৩ ধরনের জ্বালানি তেলের ওপর অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করা হচ্ছে।বর্তমানে তেল আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, আগাম কর ২ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশসহ মোট শতকরা ৩৪ শতাংশ শুল্ককর বিদ্যমান। অগ্রিম কর উঠে গেলে এ হার ২৯ শতাংশে নেমে আসবে।শিল্প মালিকরা বলেন, জ্বালানি তেল আমদানিনির্ভর হওয়ায় এর ওপর অগ্রিম আয়কর কিংবা অন্য কোনো কর আরোপ করা উচিত নয়। তেলের দাম কমলে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনেকটাই সহজ হবে।ঢাকা চেম্বারের (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, তেলের অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। বাজারে তেলের দামে এর প্রতিফলন দেখতে চাই। তবে কর কমানো হলো, কিন্তু তেলের দাম না কমিয়ে পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো মুনাফা বাড়াবে সেটা কোনোভাবেই যৌক্তিক হতে পারে না।বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, জ্বালানি তেল দেশে উৎপাদন হয় না, আমদানি করতে হয়। তাই তেলের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর আগেই তুলে নেওয়া উচিত ছিল। এখানে কোনো ধরনের অগ্রিম আয়কর থাকাই উচিত নয়। এ কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়, তারপরও জোর করে আদায় করা হতো।