এনবিআর আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের যাত্রা শুরুনকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর দাবিঅনলাইনে ৯৬ ঘণ্টা ভ্যাট কার্যক্রম বন্ধ থাকবেরমজানে ভোজ্যতেলের দাম কমাতে কর অব্যাহতিখোদ সরকারি প্রতিষ্ঠানের শুল্ক বাকি ১৮ হাজার কোটি টাকা, ৩৭ চিঠি দিয়েও ব্যর্থ এনবিআর
No icon

রিটার্ন জমায় যা কিছু জানতে ও জানাতে হবে

রিটার্ন জমার মৌসুম ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সে জন্য এখন থেকেই আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ, নতুন আয়কর আইনে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। পুরোনো ফরমে এবার রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে না। আইনের নতুন ধারা অনুযায়ী রিটার্ন সাজাতে হবে।নতুন আয়কর আইনে আপনাকে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের খবর জানিয়ে তবেই রিটার্ন জমা দিতে হবে। রিটার্ন জমার মৌসুম ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সে জন্য এখন থেকেই আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ, পুরোনো ফরমে আর রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে না। আইনের নতুন ধারা অনুযায়ী রিটার্ন সাজাতে হবে। এটি বুঝতে আপনার কিছু সময় লেগেও যেতে পারে।নতুন আইনের আলোকে আপনি কীভাবে রিটার্ন তৈরি করবেন, সেটিই এখানে তুলে ধরা হয়েছে। চলুন দেখা যাক কোথায় কী পরিবর্তন ঘটল। প্রথমেই বলা যায়, করমুক্ত আয়ের ও সারচার্জের সীমা বেড়েছে। যা-ই হোক, আবার এক পাতার রিটার্ন ফরম তৈরি হয়েছে।বর্তমানে দেশে প্রায় ৯০ লাখ টিআইএনধারী আছেন। তাঁদের মধ্যে প্রতিবছর ৩০ লাখের মতো লোক নিজেদের আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত জানিয়ে রিটার্ন জমা দেন। রিটার্ন জমার সময় হলো ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর।

করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা তিন-চার মাস আগেই চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার সুখবর পেয়েছেন। সেই সঙ্গে নারী করদাতা ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা করা হয়েছে, যা তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা ও প্রতিবন্ধী করদাতাদের জন্য ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা করা হয়।আপনার আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করলেই ন্যূনতম কর দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি এবং চট্টগ্রাম সিটির করদাতাদের ৫ হাজার টাকা; অন্যান্য সিটির করদাতাদের ৪ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন এলাকার করদাতাদের ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা কর দিতেই হবে।এবারের বাজেটে সারচার্জে ধনীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। এত দিন তিন কোটি টাকার বেশি সম্পদ থাকলেই সারচার্জ দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। এবারের বাজেটে এই সীমা বাড়িয়ে চার কোটি টাকা করা হয়েছে।

যাঁদের রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক

দেশে সব মিলিয়ে ৪৩টি সরকারি-বেসরকারি সেবা নিতে আগের মতো রিটার্ন জমার রসিদ লাগবে। গত বছর পর্যন্ত ৩৮টি সেবা পেতে রিটার্ন জমার রসিদ লাগত। নতুন আয়কর আইনে পাঁচটি সেবা যোগ করা হয়েছে। সেবাগুলো হচ্ছে নির্দিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়িভাড়া বা লিজ গ্রহণ (বাড়ির মালিক); নির্দিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক সেবা বা পণ্য গ্রহণ (সরবরাহকারী); ট্রাস্ট, তহবিল, ফাউন্ডেশন, এনজিও, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী সংস্থা, সোসাইটি ও সমবায় সমিতির ব্যাংক হিসাব খোলা ও চালু রাখা; স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি ও কার্টিজ পেপারে ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে নিবন্ধন, লাইসেন্স বা তালিকাভুক্ত করা বা বহাল রাখা; রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে গঠিত এমন কর্তৃপক্ষ বা অন্যান্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় অনুমোদনের জন্য ভবন নকশার আবেদন দাখিল।আগে থেকেই রিটার্ন জমার রসিদ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ২০ লাখ টাকার বেশি ঋণের জন্য আবেদন করলে; ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনলে; গাড়ি থাকলে, ক্রেডিট কার্ড নিলে; সরকার থেকে ১৬ হাজার টাকার বেশি বেতন পেলে; কোনো কোম্পানির পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার হলে; ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য হলে; কারও সন্তান বা পোষ্য ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করলে; অস্ত্রের লাইসেন্স নিলে; উপজেলা, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হলে।