কর দিয়ে কেউ দেউলিয়া হয় না: এনবিআর চেয়ারম্যানকর দিয়ে কেউ দেউলিয়া হয়নিকরারোপের আগে বাজার প্রভাব বিশ্লেষণ চান ব্যবসায়ীরাআমদানিতে শুল্ক ঝুঁকি মোকাবিলায় পণ্য খালাসে নতুন পদ্ধতি বেক্সিমকোকে ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেছে সরকার
No icon

কর দিয়ে কেউ দেউলিয়া হয়নি

নতুন করে আর কর অব্যাহতি না চাইতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান। তিনি বলেছেন, কর অব্যাহতির কথা বলবেন না। ধীরে ধীরে কর অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। কর দিয়ে কেউ দেউলিয়া হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিভিন্ন সংগঠনের প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি প্রকল্পে কর সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ও দেখা হবে। সমস্যাগুলো চুক্তির ভেতরে। যখন চুক্তির ভেতরেই বলে দেওয়া হয়, পেমেন্ট দেশের বাইরে হবে, করটা ক্রয়কারী দেবে ঠিকাদার দেবে না, তখনই সমস্যাটা তৈরি হয়।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক-দেড় হাজার কোটি টাকার বড় প্রকল্প। ব্যবসা তারা এখান থেকে করছে। কিন্তু কর চাপিয়ে দিচ্ছে এ দেশের সরকারের ওপর। এখান থেকে বের হওয়া উচিত। এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ৬৫ শতাংশ টিআইএনধারী এবার রিটার্ন দাখিল করেননি। যারা রিটার্ন দাখিল করেননি, তাদের নোটিশ করা হচ্ছে। তাদের ব্যাংক হিসাবসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রাক-বাজেট আলোচনায় ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ফি কমিয়ে ৯ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ফি সাড়ে ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ। এটি কমানো দরকার। রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সাড়ে ৪ শতাংশ নিবন্ধন ফি দিয়ে দ্বিতীয়বার ফ্ল্যাট বা প্লট কেনাবেচার ব্যবস্থা চালু করা দরকার। এতে একই সম্পত্তি বারবার হাতবদল হবে। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) প্রস্তাবে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, কাঁচা চামড়াকে কৃষিপণ্য বিবেচনা করে তা সংগ্রহের ক্ষেত্রে উৎসে করের আওতামুক্ত রাখতে হবে। একই সঙ্গে রপ্তানির বিপরীতে প্রাপ্ত নগদ প্রণোদনার ওপর আরোপিত উৎসে কর রহিত করতে হবে। ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএসবি) পক্ষে স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশে ব্রাঞ্চ কিংবা লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন করলেও আয়ের ওপর কর দিচ্ছে না অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে শুধু উৎসে কর নিয়ে খুশি থাকতে হচ্ছে এনবিআরকে। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আয়কর আদায়ে পদক্ষেপ দরকার। এ ছাড়াও বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরে আইসিএমএবি, বাংলাদেশ ট্যাক্স ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ভ্যাট প্রফেশনাল ফোরাম।